মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের ছোট্ট দেশ কাতারের আইনসভার আসন সংখ্যা ৪৫। দেশটির আইন অনুযায়ী, ৩০ টি আসনে নির্বাচন হবে; বাকি ১৫ জন সদস্যকে নিয়োগ দেবেন আমির শেখ তামিম।
আইনসভা শুরা কাউন্সিলের সদস্যদের মূল দায়িত্ব থাকবে তিনটি- আইন প্রণয়ন, দেশের জাতীয় নীতি নির্ধারণ এবং বাজেট প্রণয়ন ও পাস করা।
চলতি বছর ২৯ জুলাই কাতারে জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত আইনে স্বাক্ষকর করেন দেশটির আমির। তার এই সাক্ষরের মাধ্যমে দেশটিতে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আইন প্রণেতা বেছে নেওয়ার সুযোগ পেতে যাচ্ছেন কাতারের জনগণ।
নির্বাচনী আইনে কাতারকে ৩০ টি নির্বাচনী জেলা ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি জেলা থেকে বিজয়ী প্রার্থীরা আইনসভার সদস্য হিসেবে প্রবেশাধিকার পাবেন।
২০২০ সালের নভেম্বর শেখ তামিম নির্বাচন ও ভোটের আয়োজনের জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই কমিটি গত কয়েক মাসে নির্বাচনী আইন ও এ বিষয়ক সাংবিধানিক নীতিসমূহ প্রণয়ন করেছে।
নতুন আইনে বলা হয়েছে, ১৮ বা তার বেশি বয়সী নাগরিক ও যাদের দাদা কাতারে জন্মগ্রহণ করেছেন- তারা, তাদের বংশধর, ও পরিবারের সদস্যরা যে জেলার বাসিন্দা সেই জেলায় ভোট দিতে পারবেন। প্রার্থীদের অবশ্যই কাতারি বংশোদ্ভূত এবং কমপক্ষে ৩০ বছর বয়সী হতে হবে।
২০০৩ সালে নতুন সংবিধানের আওতায় কাতারে পৌরসভা নির্বাচন হয়ে আসছে, আইনসভা শুরা কাউন্সিলেও আংশিক নির্বাচন হতো। তবে দেশটিতে সমস্ত রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ছিল সেই সংবিধানে। নতুন নির্বাচনী আইনেও সেই নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হয়েছে।
উপসাগরীয় অঞ্চলের একটি ছোট দেশ কাতার। দেশটির জনসংখ্যা আনুমানিক ২৭ লাখ। তবে এর মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ কাতারি। আর বাকি ৯০ শতাংশই বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে কাজের খোঁজে গিয়ে বসবাসরত অভিবাসী কর্মী।
সূত্র : রয়টার্স