রোববার (২২ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ।
ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, এম পি। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল এবং বাংলাদেশে ইসলামিক ব্যাংক সমূহের সেন্ট্রাল শরীআহ বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন তালুকদার।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা সভাপত্বিতে আরও উপস্থিত ছিলেন মাস্টারকার্ড সাউথ এশিয়ার চিফ অপারেটিং অফিসার ভিকাস ভার্মা; মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল; ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী ও মো. ওমর ফারুক খান; ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর তাহের আহমেদ চৌধুরী ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এ এফ এম কামাল উদ্দীন।
নতুন এই কার্ডগুলো চালুর লক্ষ্য হলো, কার্ডহোল্ডারদের জন্য শপিং, রেস্তোরাঁ ও বিদেশে কেনাকাটা সহজ করার মাধ্যমে আন্তঃদেশীয় লেনদেন আরও বৃদ্ধি করা, যাতে ভ্রমণের সময় তাদের বিদেশি মুদ্রা বহনের প্রয়োজন না পড়ে।
ডুয়েল কারেন্সি কার্ডগুলোতে “টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন” ব্যবস্থা থাকছে। এতে অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে কার্ডহোল্ডারা তাদের লেনদেন নিশ্চিত করতে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) পাবেন। এর ফলে লেনদেনের ক্ষেত্রে অর্থ জালিয়াতির সুযোগ কমে যাবে। এছাড়া কার্ডগুলো ব্যবহার করে কার্ডহোল্ডাররা সপ্তাহজুড়ে ২৪ ঘণ্টাই দেশে-বিদেশের এটিএম বুথ থেকে নগদ অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।
এসব কন্ট্যাক্টলেস কার্ড একটি নিরাপদ ইএমভি-এনাবেলড চিপের সঙ্গে সংযুক্ত। ফলে কার্ডহোল্ডাররা যেকোনো সক্ষম পেমেন্ট টার্মিনাল অথবা পয়েন্ট-অব-সেল (পিওএস) মেশিন থেকে নিরাপদ ও স্পর্শহীন লেনদেন করতে পারবেন। ইএমভি কার্ড সাধারণত সমন্বিত সার্কিটে ডেটা সংরক্ষণ করে থাকে, যেখানে একজন কার্ডহোল্ডার যতবার অর্থ লেনদেন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন, প্রতিবারই “ডাইনামিক ডেটা” তৈরি হয়। তাই এটি ক্লোন বা ডুপ্লিকেট করা প্রতারকদের জন্য প্রায় অসম্ভবই বলা চলে।
নতুন এই কার্ডে সব ধরনের সুবিধা পেতে এবং ভ্রমণ কোটার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য কার্ডহোল্ডারদেরকে পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের যোগাযোগ করতে হবে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের নিকটস্থ যেকোনো ব্র্যাঞ্চে। এরপরই ব্যাংক অনুমোদিত মাস্টারকার্ডের ডেবিট, ক্রেডিট ও প্রিপেইড কার্ডে ডুয়েল কারেন্সি লেনদেন করা যাবে।
নতুন এই উপলক্ষকে ঘিরে কার্ডহোল্ডারদের জন্য আকর্ষণীয় সুবিধা ও ডিসকাউন্ট অফার ঘোষণা করেছে মাস্টারকার্ড ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। মাস্টারকার্ড টাইটেনিয়াম ও গোল্ড ডেবিট, ওয়ার্ল্ড ও গোল্ড ক্রেডিট অথবা প্রিপেইড কার্ড ব্যবহার করে দেশব্যাপী মাস্টাকার্ডের নেটওয়ার্কের মধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি আউটলেট থেকে কেনাকাটায় এই সুবিধা পাওয়া যাবে। এই ডিসকাউন্টের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: ডাইনিং, লাইফস্টাইল পণ্য ক্রয়, ভ্রমণ ও হোটেল কিংবা রিসোর্টে থাকা ইত্যাদি।
এ প্রসঙ্গে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি ব্যাংক- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড মাস্টারকার্ডের সাথে যৌথভাবে সম্মানিত গ্রাহকদের জন্য ইএমভি-সক্ষম: মাস্টারকার্ড টাইটেনিয়াম ও গোল্ড ডেবিট, ওয়ার্ল্ড ও গোল্ড ক্রেডিট এবং প্রিপেইড কার্ড চালু করতে পেরে গর্বিত। আমাদের এই পার্টনারশিপের লক্ষ্য হলো- প্রযুক্তিনির্ভর পেমেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের প্রসার ত্বরান্বিত করা এবং সারাদেশের গ্রাহকের কাছে পৌঁছে অর্থনৈতিক অর্ন্তভুক্তিকে আরও সমৃদ্ধ করা। মাস্টারকার্ডের সর্বাধুনিক “কনট্যাক্টলেস টেকনোলজি”আমাদের গ্রাহকদের জন্য আরও নিরাপদ লেনদেন ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। মাস্টারকার্ড এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের যৌথ এই উদ্যোগটি আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে সম্মানিত কার্ডহোল্ডারদেরকে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস।”
মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, “কার্ডহোল্ডারদের সুযোগ- সুবিধা ও নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিতে বেস্ট-ইন-ক্লাস সেবা আনার ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের সাথে করা এই পার্টনারশিপ মাস্টারকার্ডের জন্য একটি মাইলফলকস্বরূপ। আন্তঃদেশীয় লেনদেন সহজ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য সহজ, নিরাপদ ও দ্রুততর “ক্যাশলেস পেমেন্ট” সুবিধা আনার যে প্রচেষ্টা মাস্টারকার্ড চালিয়ে যাচ্ছে, সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই শরী'আহসম্মত ডুয়েল কারেন্সির-মাস্টারকার্ড টাইটেনিয়াম ও গোল্ড ডেবিট, ওয়ার্ল্ড ও গোল্ড ক্রেডিট এবং প্রিপেইড কার্ড চালু করা হয়েছে।’’