প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভ্যাক্সিন নামের এ টিকা ভারতে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হয়েছে। দেশটিতে চলা বিস্তৃত টিকাদান কার্যক্রমে ব্যবহূত হওয়া দুটি টিকার একটি কোভ্যাক্সিন।
তবে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য লড়াই করছে ভারত বায়োটেক। সংস্থাটি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভারত সরকারকে টিকা সরবরাহে ব্যর্থ হয়েছে। সম্প্রতি সংস্থাটি পশ্চিম ভারতের অঙ্কলেশ্বরের কারখানায় উৎপাদিত টিকার প্রথম চালান সরবরাহ করেছে। এ কারখানা প্রতি মাসে এক কোটিরও বেশি ডোজ টিকা উৎপাদনের ক্ষমতা রাখে।
ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, টিকা উৎপাদনে আন্তর্জাতিক অংশীদার খোঁজা হচ্ছে, যারা নিষ্ক্রিয় ভাইরাল টিকার বাণিজ্যিক উৎপাদনে পারদর্শী।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষ্ণা এলা এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে ভারত বায়োটেক কোভ্যাক্সিনের চাহিদা পুরোপুরি পূরণ করতে পারে। এর মাধ্যমে পুরো দেশ ও বিশ্বজুড়ে ব্যক্তিরা আমাদের এ টিকা ব্যবহার করতে পারে।
গত মাসে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্ডাভিয়া বলেছিলেন, ভারত বায়োটেক জুলাইয়ে ২ কোটি ৫০ লাখ ডোজ এবং আগস্টে ৩ কোটি ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করবে। এ সংখ্যা ভারত সরকারের প্রাথমিক প্রত্যাশার অর্ধেকেরও কম।
জুলাইয়ের শুরুতে তাদের টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশ করেছিল ভারত বায়োটেক। সেখানে বলা হয়, টিকাটি ডেল্টার বিরুদ্ধে ৬৫ দশমিক ২ শতাংশ সুরক্ষা দিতে সক্ষম। এছাড়া সামগ্রিকভাবে টিকাটির কার্যকারিতা ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি।