চীন তাড়াহুড়ো করে ও অপরিকল্পিতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বারবার নিন্দা জানিয়েছে এবং বলেছে যে, তালেবানের অধীনে তারা আফগানিস্তানের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক’ সম্পর্ক আরও গভীর করতে প্রস্তুত।
সোমবার রাতে আফগানিস্তান ছেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ সেনা। এর মধ্য দিয়েই আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের দুই দশকের দীর্ঘতম যুদ্ধের অবসান ঘটেছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যেমন সমালোচনা হচ্ছে, অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায় ফাঁকা গুলি ছুড়ে উদযাপন করেছে তালেবান।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, আফগানিস্তান বিদেশের সামরিক দখল থেকে নিজেকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। আফগান জনগণ জাতীয় শান্তি ও পুনর্গঠনের জন্য নতুন যুগের সূচনা করেছে এবং আফগানিস্তান নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে।’
বেইজিংয়ের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘আমরা আশা করি, আফগানিস্তান একটি স্বাধীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ব্যাপকভাবে প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠন করবে এবং কঠোর হস্তে সব ধরনের সন্ত্রাসবাদী শক্তিকে দমন করবে।’
তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের সহযোগী দেশগুলো আফগানিস্তান ছাড়তে শুরু করলেও চীন দূতাবাস বন্ধের পরিকল্পনা নেই জানিয়ে বলেছিল, ‘বেইজিং আফগানিস্তানের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগকে স্বাগত জানায়।’
তালেবানের একটি প্রতিনিধিদল জুলাইয়ে চীন সফর করেছিল। ওই সফরের তালেবান নেতারা চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং লির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেই সময় ওই বৈঠককে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে তালেবানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বলে মনে করা হচ্ছিল।
আফগানিস্তানে চলতি ঘটনাপ্রবাহকে চীনের পত্রপত্রিকায় মূলত যুক্তরাষ্ট্রের অপমানজনক পরাজয় এবং ব্যর্থতা হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে। গ্লোবাল টাইমস লিখেছে, আফগানিস্তানে মুহূর্তের মধ্যে ক্ষমতার যে রদবদল তা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘বিশাল একটি আঘাত।’