এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল।
এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএম-এর সহযোগী অধ্যাপক এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ এবং সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম) মোহাম্মদ সোহেল মোস্তফা সিএফএ। সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
কর্মশালায় গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএম-এর সহযোগী অধ্যাপক মো. শিহাব উদ্দিন খান।
পাঁচ সদস্যের গবেষণা দলে অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন- বিআইবিএম-এর সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান আলম; সহকারী অধ্যাপক কানিজ রাব্বী; প্রভাষক মো. ফয়সাল হাসান এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার জামাল উদ্দিন মজুমদার।
গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইটি সিকিউরিটিতে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। ২০১৯ সালে মোট আইটি বাজেটের ৫ দশমিক ৬ শতাংশ আইটি সিকিউরিটিতে বরাদ্ধ ছিল। ২০২০ সালে মোট আইটি বাজেটের প্রায় সাড়ে ৯ শতাংশ আইটি সিকিউরিটিতে বরাদ্ধ রাখা হয়। এর কারণ হিসেবে গবেষকরা জানিয়েছেন, ব্যাংকিং খাতের দফায় দফায় সাইবার আক্রমণের কারণে সচেতনতা বাড়ায় আইটি সিকিউরিটিতে বরাদ্ধ বেশি রাখছে ব্যাংকগুলো।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমের ড. মোজাফফর আহমদ চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা; বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (প্রোগ্রামিং) দেবদুলাল রায়; ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড- এর প্রেসিডেন্ট এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলি; শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডে-এর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস. এম. মাঈনুদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
কর্মশালা উদ্বোধন করে বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল বলেন, ব্যাংকিং খাতে তথ্য ও প্রযুক্তি আরও বেশি ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবার মান বাড়াতে হবে। যাতে গ্রাহকরা আরো আস্থার সঙ্গে ব্যাংকিং করতে সক্ষম হয়। আর্থিক ও ব্যাংকিং সেবায় এখন তথ্য প্রযুক্তির কোন বিকল্প নেই।
সমাপনী বক্তব্যে বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, যেসকল সুপারিশ এবং মন্তব্য আসছে তা গবেষণা প্রতিবেদনে অর্ন্তভুক্ত করা হবে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলোর সিদ্ধান্ত তরান্বিত করবে।