আলমগীর কবির ১৯৪৭ সালের ২৮ শে ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.কম (অনার্স) এবং পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.কম ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি একজন পেশাদার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, হিসাব নিরীক্ষা, অ্যাকাউন্টিং, ব্যাংকিং, বীমার সম্পর্কে তার গভীরতম জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা রয়েছে।
আলমগীর কবির ২০০৪ সালের ২৯ শে সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি ব্যাংকের সকল সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানেরও চেয়ারম্যান। এছাড়া ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর অনারারি উপদেষ্টা।
১৯৬৯ সালে কেপিএমজির মেম্বার ফার্ম রহমান রহমান হক অ্যান্ড কোং, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস-এ কর্মজীবন শুরু করেন আলমগীর কবির। এরপর তিনি রহমান রহমান হকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইডব্লিউপি অ্যাসোসিয়েটসে ম্যানেজম্যান্ট কনসালটেন্ট হিসেবে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম বিধিবদ্ধ নিরীক্ষক হিসেবে অডিট অব অ্যাকাউন্টসের অডিট ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে সৌদি আরবের রিয়াদ শহরে সৌদি অ্যাকাউন্টিং ব্যুরো, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের হয়ে দ্বায়িত্ব পালন করেন যেটি কুপার্স অ্যান্ড লাইব্র্যান্ড, মুরস রোল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল এবং ইনবুকন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মেম্বার ফার্ম। সেখানে তিনি ১৯৭৯ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট হিসেবে গুরু দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর দেশে ফিরে এসে তিনি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসিতে ) সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বিএসইসি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন। বিএসইসিতে থাকার সময় তিনি বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে উল্ল্যেখযোগ্য অবদান রাখেন। ১৯৯৬ সাল থেকে, তিনি ব্যাংক, নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা এবং পুঁজিবাজার সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানের গঠন ও উন্নয়নে কাজ করেছেন।
১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা ছিলেন আলমগীর কবির, যার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন তার ভাই মরহুম শাহজাহান কবির। দুই ভাইয়ের যৌথ প্রয়াসে এক্সিম ব্যাংক গঠন ও দ্রুত প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখেন।
আলমগীর কবির এমন একটি পরিবারের প্রতিনিধিত্ব করেন যে পরিবারের সদস্যরা ব্যাংক, বীমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের সাথে জড়িত। তিনি বেশ কয়েকটি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এবং বিভিন্ন সামাজিক সংস্থার সাথে যুক্ত রয়েছেন যার মাধ্যমে তিনি মানুষের কল্যাণের জন্য অত্যন্ত নীরবে কাজ করছেন।