চীনের উত্তরাঞ্চলীয় হেবেই প্রদেশে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল অর্থনীতি নিয়ে একটি ফোরামে লিউ বলেন, বেসরকারি খাতকে সমর্থন করার জন্য চীনের নীতি পরিবর্তন হয়নি এবং ভবিষ্যতেও পরিবর্তন হবে না।
চীন বিভিন্ন শিল্পের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে। ফলে স্টার্টআপ ও কয়েক দশকের পুরনো সংস্থাগুলো অনিশ্চিত পরিবেশের মধ্যে রয়েছে। উদ্বেগের মধ্যে আছেন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির বিনিয়োগকারীরা।
লিউ বলেন, বেসরকারি খাতগুলো চীনের রাজস্ব আয়ে ৫০ শতাংশ, জিডিপিতে ৬০ শতাংশ ও শহুরে কর্মসংস্থানে ৮০ শতাংশ অবদান রাখে। অর্থনৈতিক উত্থান ও কমিউনিস্ট পার্টির শাসনের বৈধতাকে হুমকির মুখে ফেলা চীনের সম্পদের ব্যবধান ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে। এজন্য সম্পদের ব্যবধান কমিয়ে আনতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ‘সাধারণ সমৃদ্ধি’ অর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে রাজনীতিবিদদের মধ্যে প্রকাশ্য মতবিরোধের ফলে জিনপিংয়ের নীতি পরিবর্তনের প্রভাবগুলো অস্পষ্ট রয়ে গেছে। চীনা সরকারের নিয়ন্ত্রণমূলক এ পদক্ষেপকে ‘বিপ্লব’ আখ্যা দিয়েছিলেন পিপলস ডেইলি প্রকাশিত টেবলয়েড গ্লোবাল টাইমসের প্রধান সম্পাদক হু জায়জিন। তার এ মতামত রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার হয়েছিল। সেখানে জায়জিন বলেন, সংস্কারগুলো নিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী ও সামাজিক শাসন ব্যবস্থাকে উন্নত করবে। সূত্র: রয়টার্স।