বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
এসব আপিল মামলা নিষ্পত্তির জন্য ইতোপূর্বে হাইকোর্টের বেধে দেয়া ২৫ সেপ্টেম্বর সময়ের মধ্যে রায় ঘোষিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনের মামলায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৫০ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন। উক্ত রায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে দায়রা জজ আদালতে ক্রিমিনাল আপিল মামলা দায়ের করেন আসামিপক্ষ। একইসঙ্গে আসামিরা দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদনও করেন। কিন্তু তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ায় উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তারা।
হাইকোর্ট আসামিদের জামিন না দিয়ে দায়রা জজ আদালতে তাদের দায়ের করা ক্রিমিনাল আপিল মামলা ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী উল্লিখিত ৪টি আপিল মামলা সম্প্রতি দায়রা জজ আদালতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শুনানি সম্পন্ন হয়।
আজ অ্যাডভোকেট আব্দুস ছাত্তারের আপিল মামলাটি বাদে বাকি ৩টি মামলার রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত। এ ছাড়া তার আপিল ২৭/২১ নম্বর মামলাটি তৃতীয় দিনের মতো শুনানির জন্য দিন রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলার শুনানি করেন সাতক্ষীরা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল লতিফ। তিনি বলেন, আজ দুপুর ১২টার দিকে মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওই ৬ আসামির ৩টি আপিলই নামঞ্জুর হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখেছেন বিচারক।
মামলায় আপিলকারী ৬ আসামির পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী আবদুল মজিদ (২), মিজানুর রহমান, সেলিনা আক্তার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট কলারোয়ার একজন মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিত স্ত্রীকে দেখতে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যান সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে দুপুর ১২টার দিকে তিনি তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে কলারোয়া হয়ে যশোরের উদ্দেশে রওনা দেন। পথিমধ্যে কলারোয়া বাজারে বিএনপি অফিসের সামনে পৌঁছালে তার গাড়িবহরে হামলা চালায় বিএনপির নেতাকর্মীরা