বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সারাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন ২৫৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১২ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৪ জন। এ নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৪২ জনে।
ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন এক হাজার ৮৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৫৪ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আজ (৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত হাসপাতালে সর্বমোট রোগী ভর্তি হয়েছেন ১২ হাজার ৬৯০ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১১ হাজার ৩৯৫ জন রোগী। ডেঙ্গুতে এ সময়ে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত জানুয়ারিতে ৩২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। জুনে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭২। জুলাইয়ে তা হয় ২ হাজার ২৮৬। সব মিলিয়ে এ বছরের প্রথম সাত মাসে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন দুই হাজার ৬৫৮ জন।
জুলাই থেকেই পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে। আগস্টে এসে এ চিত্র উদ্বেগজনক হয়ে পড়ে। ওই মাসে হাসপাতালে সাত হাজার ৬৯৮ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন। সেপ্টেম্বর মাসের আট দিনে দুই হাজার ৩৩৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, বছরের প্রথম সাত মাসে ১২ জনের মৃত্যু হলেও পরের এক মাসেই (আগস্ট) ৩৩ জনের মৃত্যু হয়। সেপ্টেম্বরের ৮ আগস্ট পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সবমিলিয়ে ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে চলতি বছর ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে। সে বছর এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মারা যান ১৪৮ জন। ডেঙ্গুতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ২০০২ সালে, সেবার ৫৮ জনের মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২০০১ সালে ৪৪ জন ডেঙ্গুতে মারা যান।