‘২০২২ সালে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে এবং বাংলাদেশ হতে হজে গমনের অনুমতি পাওয়া গেলে ইতোপূর্বে যারা প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন করেছেন তারা ক্রমান্বয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হজে যেতে পারবেন।’
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ হতে হজে গমনেচ্ছু নিবন্ধিত ব্যক্তিদের বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস জনিত বৈশ্বিক মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে সৌদি আরবের অভ্যন্তরে সীমিত পরিসরে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়। বাইরের দেশ থেকে কোনো হজযাত্রী সৌদি আরবে গমনের সুযোগ পাননি। সে ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ থেকেও কোনো হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে গমন করেননি।’
তিনি বলেন, ‘কোন প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধনকারী ব্যক্তি জমাকৃত অর্থ উত্তোলন করতে চাইলে নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে আবেদনে করে অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গমনের জন্য ২০২০ সালে তিন হাজার ৪৫৭ জন ব্যক্তি নিবন্ধন করেছিলেন। এদের মধ্যে ৭৫৭ জন তাদের নিবন্ধন বাতিল করে রিফান্ড গ্রহণ করেছেন এবং দুই হাজার ৭০০ জন বর্তমানে নিবন্ধিত রয়েছেন।’
ফরিদুল হক খান বলেন, ‘বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০২০ সালে হজে যাওয়ার জন্য ৬১ হাজার ১৪২ জন নিবন্ধন করেন। তাদের মধ্যে সাত হাজার ৭১৯ জন তাদের নিবন্ধন বাতিল করে রিফান্ড গ্রহণ করেছেন এবং বর্তমানে ৫৩ হাজার ৪২৩ জন নিবন্ধিত রয়েছেন।’
সভায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম পিএইচডি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহনও পর্যটন, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, পাসপোর্ট অধিদপ্তর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ব্যাংকসমূহ, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর প্রতিনিধিসহ হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।