বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) এই নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত হয়। সেই সভায়ই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে ১১টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সেই ১১টি সিদ্ধান্ত তুলে ধরে তা বাস্তবায়নের জন্য মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
১। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সব পর্যায়ের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং মাদরাসাগুলোর শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষ সার্বক্ষণিক তদারকি করবে।
২। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের লক্ষ্যে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতারা, ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে।
৩। এ বছরের এবং আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের এবং প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস হবে। বাকি শ্রেণিগুলোর শিক্ষার্থীদের ক্লাস সপ্তাহে একদিন করে হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় পরে তা পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।
৪। এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাস কিছুদিন পরেই শেষ হয়ে গেলে নবম ও একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস হবে।
৫। পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী এবং অষ্টম শ্রেণির জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষার প্রস্তুতি থাকবে। পরিস্থিতি অনুকূল হলে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
৬। প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস আপাতত বন্ধ থাকবে।
৭. যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করতে হবে।
৮। বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৯। কোনো স্থানে করোনা সংক্রমণের অবনতি বা বিশেষ অবস্থার সৃষ্টি হলে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসন বা শিক্ষা বিভাগকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।
১০। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার বিষয়ে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
১১। ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদানের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সরকারের মাঠ প্রশাসনের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এজন্য এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয় চিঠিতে।