ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বাধীন আল-কায়েদার জঙ্গিরা এ হামলা চালায়। এতে দুই হাজার ৯৯৬ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হন ছয় হাজারের বেশি মানুষ।
পার্ল হারবার হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ভয়াবহতম এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে পরিবর্তন আসে বিশ্বরাজনীতিতে। এর জেরে আফগানিস্তান ও ইরাকে দুটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জড়ায় যুক্তরাষ্ট্র।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার পাশাপাশি হামলা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগনেও। এছাড়া ছিনতাই হওয়া আরও একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল পেনসিলভানিয়ার শাঙ্কসভিলে।
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার পরিপ্রেক্ষিতেই জঙ্গিবাদবিরোধী যুদ্ধ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। সেই যুদ্ধের অংশ হিসাবে ওই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন তাদের হামলায় নিহত হয়েছে বলে দাবি মার্কিন বাহিনীর।
এদিকে, নিউইয়র্কে হামলার স্থান, যেখানে টুইন টাওয়ার বিধ্বস্ত হয়েছিল, সেই গ্রাউন্ড জিরোর ধ্বংসস্তুপ পরিষ্কার করতে সময় লেগেছিল আট মাসেরও বেশি। ওই স্থানে এখন তৈরি হয়েছে একটি জাদুঘর এবং একটি স্মৃতিসৌধ। ভবনগুলো আবার নির্মিত হয়েছে, তবে ভিন্ন নকশায়।
সেখানে মধ্যমণি হিসাবে নির্মিত হয়েছে, ওয়ান ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বা ‘ফ্রিডম টাওয়ার, যা উচ্চতায় আগের টাওয়ারের চেয়েও বেশি। নর্থ টাওয়ারের উচ্চতা ছিল এক হাজার ৩৬৮ ফুট। আর নতুন ফ্রিডম টাওয়ারের উচ্চতা এক হাজার ৭৭৬ ফুট।
এছাড়া পেন্টাগন পুনর্নিমাণে যুক্তরাষ্ট্রে সময় লেগেছিল প্রায় এক বছর। ২০০২ সালের আগস্টের মধ্যেই পেন্টাগনের কর্মচারীরা আবার তাদের কর্মস্থলে ফিরে যান।