সেই সঙ্গে তিনি কোভিড-১৯ মহামারীর সঙ্গে রাজনীতিকে না জড়ানোরও আহ্বান জানিয়েছেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বুধবারের ব্রিফিংয়ে মহা পরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেন, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। সেটা হতে হবে আন্তরিকভাবে। আর সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের নেতৃত্বকেও আন্তরিক হতে হবে। সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাধর যারা তাদেরই তো পথ দেখাতে হবে। আর দয়া করে কোভিড রাজনীতিকে কোয়ারেন্টিনে রাখুন।
একদিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কড়া সমালোচনা করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, প্রতিষ্ঠানটি ‘অনেক বেশি চীনঘেঁষা’। এই বিশ্ব সংস্থাকে তহবিল যোগানো বন্ধ করারও হুমকি দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ড. গেব্রিয়েসুস বলেন, “আমরা প্রতিটি দেশের সঙ্গেই কাজ করি। আমরা কালার ব্লাইন্ড।”
মঙ্গলবারের ওই হুমকির পর বুধবারও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমালোচনা করে বক্তব্য দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, কোন কাজটা আগে করা উচিৎ, সেটা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিকঠাক বুঝতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র আর তাদের চাঁদা দেবে কি না, সেটা খতিয়ে দেখা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বুধবার সন্ধ্যায় এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একই সুরে কথা বলেন। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় তহবিল যোগানোর বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র পর্যালোচনা করে দেখছে। সংস্থাগুলোকে তো কাজ দেখাতে হবে, যে কাজের জন্য তাদের রাখা হয়েছে, সেই ফলাফল দেখাতে হবে।”
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইতোমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাজের প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন থাকার কথা জানিয়েছেন।
করোনাভাইরাস মহামারীকে একটি নজিরবিহীন সঙ্কট হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেছেন, “এখন ঐক্যবদ্ধ থাকার সময়। এই ভাইরাসের বিস্তার রোধের পাশাপাশি, এই মহামারীর ভয়ঙ্কর পরিণতি সামাল দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এখন একসাথে কাজ করতে হবে।”