শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে শিক্ষা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
পরীক্ষার্থী নয়, চাই শিক্ষার্থী, জীবিকা নয় ও জীবনের জন্যই শিক্ষা প্রয়োজন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বাস্তবতা শিক্ষক-অভিভাবক-শিক্ষার্থী ও নীতিনির্ধারকদের সবার আগে উপলব্ধি করতে হবে।
শিক্ষা দিবস নিয়ে ছাত্র সংগঠনের কোনো কর্মসূচি না থাকায় দুঃখ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকের দিবসটি ছাত্রসমাজের জন্য অপরিহার্য, '৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন নিয়ে আজ কয়জনে জানে? তা জানা নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রনেতারা এখন তাদের ক্যাম্পাস, শিক্ষা ও শিক্ষার সমস্যা— এমনকি কোনো সংগঠন এই দিবসের তাৎপর্য নিয়ে কোনো সেমিনারও করে না।
তিনি বলেন, এ ধারা চলতে থাকলে ছাত্র সংগঠনগুলোর জৌলুস হারিয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ মুহূর্তে জরুরি হচ্ছে— গবেষণানির্ভর হয়ে শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে নতুন কলাকৌশলে এগিয়ে যাওয়া।
মেধাবীদের মেধার মূল্যায়ন করতে হবে, কোনো নেতাদের তদবিরে নয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষার মান যেমন বাড়াতে হবে তেমনি শিক্ষকতার মানও বাড়াতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের করোনার এই অতিমারিতে অনেক ছাত্র-ছাত্রী ঝরে গেছে, স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে, তাদের খুঁজে বের করে আবারও শিক্ষাঙ্গনমুখী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে ভাবেন না, তিনি ভাবেন আগামী প্রজন্ম নিয়ে, আর এটাই হওয়া উচিত বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের কথা মাথায় আছে বলেই তিনি আজ রাষ্ট্রনায়ক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ মাসের শেষেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে, হলগুলোতে জীবনযাত্রা কেমন তা দেখতে হবে। হলগুলোতে অছাত্ররা অবস্থান করে, তাদের লিখিতভাবে হলে থাকা বন্ধ করতে হবে।
এ নিয়ে কে খুশি হলো, কে অখুশি হলো তাতে কিছু যায় আসে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শিক্ষাকে গুণগত গভীরতায় আনতে হলে এসব সিদ্ধান্ত নিতেই হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।