শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া.কম।
প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, গত ৩৬ ঘণ্টায় উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনৌতে ২৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ২২ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। প্রবল এই বৃষ্টিপাতের পর রাজ্যটির সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
রাজ্যটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া.কম জানিয়েছে, প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে লখনৌতে ১৫ জন মারা গেছেন। এছাড়া বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুতায়িত হয়ে দু’জন শিশু মারা গেছে। একইসঙ্গে বৃষ্টির পর বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ১০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
এদিকে উত্তরপ্রদেশের বারাবানকি এলাকায় ৯ জন মারা গেছেন। তাদের বেশিরভাগই দুর্ঘটনা এবং বাড়ি-ঘর ধসে প্রাণ হারিয়েছেন। প্রবল বৃষ্টিপাতের পর বারাবানকি এলাকায় ব্যাপকভাবে পানি জমাট বেঁধেছে এবং এর জেরে বিদ্যুৎ ও টেলিকম সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।
ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে উত্তরপ্রদেশে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমে আসার সম্ভাবনা থাকলেও আগামী ৪৮ ঘণ্টা মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
রাজ্যটির রিলিফ কমিশনার রনবীর প্রসাদ জানিয়েছেন, শুক্রবারের জন্য একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। এছাড়া রাজ্য প্রশাসনও বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে।
এদিকে একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন লখনৌর পুলিশ কমিশনার ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া বৈদ্যুতিক পোলের কাছে না যেতে এবং গর্তযুক্ত রাস্তা এড়িয়ে চলতেও মানুষের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের আমেথি, অযোধ্যা, সীতাপুর, লক্ষ্মীপুর, লখনৌ, উন্নাও, রায়বরেলি, কানপুর, ফিরোজাবাদ ও পিলভিট-সহ জেলায় জেলায় তুমুল বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়া প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর রাজ্যের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন।