শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ‘মন্ট্রিল প্রটোকল মেনে ওজোনস্তর রক্ষা করি, নিরাপদ খাদ্য ও প্রতিষেধকের শীতল বিশ্ব গড়ি’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ব ওজোন দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বসুন্ধরা করপোরেট অফিসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়নের সব ধাপ যথাসময়ে সঠিকভাবে অতিক্রম করেছে। প্রটোকলের বাধ্যবাধকতা প্রতিপালন করছে। এর স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ এবং ২০১৭ সালে জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি কর্তৃক বাংলাদেশ প্রশংসিত ও পুরস্কৃত হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়নে ৫টি এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদন কোম্পানি ও একটি চিলার উৎপাদন কোম্পানিকে আর্থিক এবং কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে বাংলাদেশে। যার মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব ও শক্তি সাশ্রয়ী এসি উৎপাদন করা যাবে। এ লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন নীতি গ্রহণের ফলে ২০২৫ সালে এইচসিএফসির ব্যবহার ৬৭.৫ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। এইচপিএমপি স্টেজ-২ বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রায় ১.৭ মিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড সমতুল্য গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ এড়ানো সম্ভব হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, রেফ্রিজারেশন সেক্টরে নিয়োজিত প্রায় ১০ হাজার টেকনিশিয়ানকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওডিএস চোরাচালান রোধে কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা ও ওডিএস আইডেন্টিফায়ার প্রদান করা হয়েছে। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডসহ সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে মন্ট্রিল প্রটোকলের প্রত্যেকটি বাধ্যবাধকতা মেনে চলার আহ্বান জানাই।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এসএম নূরুল আলম রেজভী এবং ভাইস চেয়ারম্যান এসএম শামছুল আলম, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক, ওজোন সেলের সিনিয়র অফিসার সত্যেন্দ্র কুমার পুরকায়স্থ প্রমুখ।