শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর টাউন হল মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি কথা সম্বলিত ‘স্মৃতিতে রণাঙ্গন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রংপুর মহানগরের ৭২ জন মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিবিজড়িত মুক্তিযুদ্ধের কথা বইটিতে তুলে আনা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রংপুর জেলা ইউনিট কমান্ড এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
একাত্তরের সম্মুখযুদ্ধে পরাজিতরা বাংলাকে পাকিস্তান করার স্বপ্নে বিভোর হয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, ১৫ আগস্টের পর জয় বাংলার পরিবর্তে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ স্লোগানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর আঘাত করল স্বাধীনতাবিরোধীরা। যে স্লোগান দিয়ে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করলাম, ১৫ আগস্ট মুহূর্তের মধ্যে সেই জয় বাংলা স্লোগান হয়ে গেল বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। এটা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর করা প্রথম আঘাত।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পাকিস্তান প্রীতিকে জাগিয়ে রেখে বাংলাদেশকে ২১ বছর পেছনে ফেলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নে বিশ্বের মডেল। পাকিস্তান এখন বাংলাদেশের চেয়ে সব সূচকে পেছনে পড়ে গেছে। আমাদের রিজার্ভ যখন ৪৮ মিলিয়ন ডলার, তখন পাকিস্তানে অর্ধেক। প্রতিটা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে।
মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের স্মৃতিচারণ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে একেকটি ইতিহাসের সাক্ষীর মৃত্যু ঘটছে। তাই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মকে জানাতে হবে। বঙ্গবন্ধুর লেখা কারাগারের রোজনামচা, অসমাপ্ত আত্মজীবনীসহ তাকে নিয়ে লেখা যত বই আছে নতুন প্রজন্মসহ সকলকে তা পড়তে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু, জেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়ার রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহাবুব রহমান, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সরকার রফিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধান অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে স্মৃতিতে রণাঙ্গন বইটি তুলে দেন। এ সময় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।