চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনটাও নিউজিল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে কমপ্রিহেনসিভ অ্যান্ড প্রোগ্রেস এগ্রিমেন্ট ফর ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপের (সিপিটিপিপি) প্রতিনিধি হতে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন। সিপিটিপিপি মূলত ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ ছিল। এশিয়ার সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক জোরদার করতে তত্কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ বাণিজ্যগোষ্ঠী নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছিলেন। চীনকে এ গোষ্ঠীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এবং ২০১৭ সালে ওবামার উত্তরসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প এ গোষ্ঠী থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। এখন পর্যন্ত জো বাইডেনও পুনরায় যোগদান করেননি।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, এ আবেদনটি বেইজিংকে বিশ্ব বাণিজ্যে নেতৃত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রমবর্ধমান বিচ্ছিন্ন করার বিষয়টি ইঙ্গিত দিচ্ছে।
২০১৮ সালে কার্যকর হওয়া সিপিটিপিপিতে বাজারে প্রবেশ, শ্রমিকের চলাচল ও সরকারি ক্রয়চুক্তির মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গোষ্ঠীটিতে অন্যান্য সদস্যের মধ্যে রয়েছে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনাই, চিলি, জাপান, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, পেরু, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনাম। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সিপিটিপিপিতে যোগদানের জন্য আলোচনা করছে। চীন যোগ দিলে গোষ্ঠীটির মোট জনসংখ্যা প্রায় ৪০০ কোটি হবে।
২০০১ সালে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় যোগদানের সময় চীন সরকার পণ্য আমদানি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে এক্ষেত্রে দেশটি নানা অভিযোগের মুখে পড়ে। দেশটি অর্থ ও অন্যান্য পরিষেবা শিল্প খোলার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতেও ব্যর্থ হয়।
চীন রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপসহ বিভিন্ন বাণিজ্য গোষ্ঠীরও সদস্য। গোষ্ঠীগুলোতে এশিয়ার অনেক দেশ থাকলেও সেগুলো সিপিটিপিপির অংশ নয়। সূত্র: এপি।