এই নিয়ে অষ্টম করোনা টিকার অনুমোদন দিল ভিয়েতনাম। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, কিউবার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করতে হাভানার উদ্দেশে শনিবার ভিয়েতানামের রাজধানী হ্যানয় ত্যাগ করেছেন দেশটির প্রেসিডিন্ট এনগুয়েন জুয়ান ফুক।
তার সফর শুরুর ঘণ্টাখানেক পরই এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। ভিয়েতনাম ও কিউবার মধ্যকার সম্পর্ক জোরদার করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারি সূত্র।
এ বিষয়ক এক বিবৃতিতে শনিবার ভিয়েতনামের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘করোনার বিরুদ্ধ লড়াইয়ের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আবদালা টিকার অনুমোদন দিয়েছে।’
বিশ্বে সর্বশেষ যে পাঁচটি সমাজতান্ত্রিক দেশ আছে তাদের মধ্যে অন্যতম ভিয়েতনাম ও কিউবা। অন্য তিন দেশ হলো চীন, লাওস এবং উত্তর কোরিয়া।
জুলাাই মাসে কিউবায় যখন সরকার বিরোধী আন্দোলন চলছিল, তখন ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল- কিউবার ওপর থেকে যাবতীয় অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা যেন প্রত্যাহার করা হয়।
এদিকে, করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টার প্রভাবে এশিয়ার যে দেশগুলোতে সম্প্রতি ছারখার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, সেসবের মধ্যে অন্যতম ভিয়েতনাম। দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভিয়েতনামে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৬ লাখ ৬৭ হাজার ৬৫০ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ১৬ হাজার ৬৩৭ জনের।
মোট আক্রান্ত ও মৃত্যুর অধিকাংশই ঘটেছে গত এপ্রিল থেকে আগস্টের মধ্যে এবং এর জন্য প্রধানত দায়ী করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরন।
টিকাদান কর্মসূচিতে এখন পর্যন্ত এশিয়ার অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে ভিয়েতনাম। সরাকরি তথ্য বলছে, ৯ কোটি ৮০ লাখ মানুষ অধ্যুষিত এই দেশটিতে টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন মাত্র ৬ শতাংশ।
সূত্র : রয়টার্স