বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জটিলতাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, এগুলো সমাধানের প্রচেষ্টা চলছে। সমস্যাগুলোর সমাধান হলে রাশিয়ার বাজারে বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশের তৈরি পণ্য রফতানি করা সম্ভব হবে। তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য পণ্য সরাসরি রফতানিতে রাশিয়ান সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মাস্তিতস্কি’র সাথে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধুরাষ্ট্র। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়া বাংলাদেশের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল, এজন্য বাংলাদেশ রাশিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞ। রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে লেন-দেন এবং কিছু শুল্ক জটিলতার কারণে রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব হচ্ছে না।
নবনিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মাস্তিতস্কি বলেছেন, বাংলাদেশকে রাশিয়ার বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। রাশিয়া বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের পণ্যের অনেক চাহিদা রয়েছে রাশিয়ায়। চলমান বাণিজ্য বাধা দূর হলে উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে। রাশিয়া সরকার চলমান সমস্যাগুলো দূর করতে আন্তরিক। রাশিয়া বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগী হতে চায়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ এখন উন্নত মানের পণ্য প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে সরবরাহ করতে সক্ষম। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। রাশিয়ার সহযোগিতায় বাংলাদেশ রাশিয়াসহ ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়ন ও সিআইএসভুক্ত অন্যান্য দেশে রফতানি বৃদ্ধি করতে আগ্রহী।
উল্লেখ্য, গত ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ৬৬৫.৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রাশিয়ায় রফতানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ৪৬৬.৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
এ সময় বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হকসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কমকর্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।