মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) মাল্টিপারপাস হলে “বিআইসিএম রিসার্চ সেমিনার-০৭” অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে ড. হাবিবুর রহমান এসব কথা বলেন।
এছাড়া সেমিনারে “Financial Openness and Income Inequality in Emerging Economies: A Panel Data Approach” শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বিআইসিএমের সহকারী অধ্যাপক সাফায়েদুজ্জামান খান।
ইনস্টিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ড. এস. এম. জুলফিকার আলী, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস)। এছাড়া বিআইসিএম-এর পরিচালক (স্টাডিজ) ওয়াজিদ হাসান শাহ্ সেমিনারে সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেন।
সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে আর্থিক আন্তঃসংযোগসমূহ তথ্যের অসমতা হ্রাস, ঋণের কার্যকর বন্টণ এবং উপযুক্ত মূলধন ঝুঁকি হ্রাসকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন মাত্রায় সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি লাভের নিয়ামক। উল্লিখিত আন্তঃসংযোগসমূহের প্রভাবক এবং প্রক্রিয়াগুলির মাধ্যমে তা আর্থিকভাবে সীমাবদ্ধ স্থানীয় ব্যবসাগুলোকে স্বল্প খরচে মূলধন যোগান, সম্প্রসারণ এবং উৎপাদন সীমানা বৃদ্ধিতে সমর্থ করে।
অপরদিকে মূলধন এবং দক্ষ শ্রমের আপেক্ষিক পরিপূরকতার ক্ষেত্রে দক্ষ এবং অদক্ষ শ্রমের কাঠামো বিবেচিনায় আর্থিক উন্মুক্ততা শ্রম-বাজারের জন্য সুদূরপ্রসারী ফলাফল বহন করে। সেমিনারে উপস্থাপিত গবেষণায় এই নির্দিষ্ট ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে মূলধন-হিসাব উদারীকরণের সাথে আর্থিক অসমতার মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
এই অসমতার মাত্রা বৃদ্ধির ফলে দক্ষ শ্রমের আয় তার সাথে তুলনীয় অদক্ষ শ্রমের সাপেক্ষে অতিরিক্ত মানে বর্ধিত হয়। উক্ত গবেষণায় বাংলাদেশের জন্য প্রাপ্ত ফলাফলগুলোকে প্রাসঙ্গিক নীতিগুলোর সাপেক্ষে উপস্থাপন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ড. এস. এম. জুলফিকার আলী বলেন, বাংলাদেশে আঞ্চলিক বৈষম্য যেমন বেশি, তেমনি বিভিন্ন গোষ্ঠীর আয়ের মধ্যকার পার্থক্যও অনেক। বিজ্ঞ আলোচকগণ আয় বৈষম্যের মানবিক দিকগুলি তুলে ধরে বাংলাদেশের জন্য আরো কিছু প্রয়োজনীয় গবেষণার ব্যাপারে দিক নির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানে বিআইসিএমের অনুষদ শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা এবং অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন। সকলেই সুন্দর আগামীর ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে উক্ত সেমিনারটি শেষ করেন।