বিশ্লেষকেরা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দু–দুটি ঝড়ের পর তেলের চাহিদা বাড়ছে। তবে সেই তুলনায় সরবরাহ কম রয়েছে। ফলে পণ্যটির দাম বেড়েছে।
বর্তমানে ইউরোপের দেশগুলোতে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের সংকট চলছে। সব মিলিয়ে বিশ্ববাজারে এখন সরবরাহ কম থাকার পরিস্থিতিতে তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেকের সদস্যদেশগুলো সরবরাহ বাড়াতে চায়। তারা বেশ কিছুদিন ধরে সরবরাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে দৈনিক তেল উত্তোলনের পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ ছাড়া চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম আবাসন প্রতিষ্ঠান এভারগ্র্যান্ড গ্রুপের দেউলিয়া হওয়ার পথে রয়েছে, এমন খবরে এশিয়ার পুঁজিবাজারের পাশাপাশি তেলের বাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডেয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড অয়েল মানে জ্বালানি তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১ দশমিক শূন্য ৪ ডলার বা ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়ে ৭১ দশমিক ৫১ ডলারে উঠেছে। আর ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম প্রতি ব্যারেল দশমিক ৯৪ সেন্ট বা ১ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫ দশমিক ৩০ ডলারে উন্নীত হয়েছে।
আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটের (এপিআই) তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত সপ্তাহে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুত ৬১ লাখ ব্যারেল কমেছে। তবে আরও বেশি কমার আশঙ্কা করা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকসও মাস তিনেক আগে তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, কোভিড-১৯-এর কারণে বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থায় যে প্রতিবন্ধকতা দেখা গিয়েছিল, তা দূর হচ্ছে। পাশাপাশি দেশে দেশে দ্রুত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া গতি পেয়েছে। ফলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ছে। সূত্র: রয়টার্স