স্থানীয় সময় শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে তাদেরকে আটক করা হয়। আটকের কয়েক ঘণ্টা পরই অবশ্য তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস ও বর্ডার প্রোটেকশনের (সিবিপি) বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, মেক্সিকোর কুইদাদ জুয়ারেজ শহরের সীমান্ত পার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের সীমান্তবর্তী শহর এল পাসো’তে অবৈধভাবে প্রবেশের পরই ১৪ মেক্সিকান সেনাকে আটক করা হয়। এরপর কয়েক ঘণ্টা তারা আটক অবস্থায় ছিলেন।
রয়টার্সের কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে সিবিপি আরও জানিয়েছে, ‘এল পাসো শহরের আন্তর্জাতিক সীমান্ত ক্রসিংয়ের কাছে দায়িত্বপালন করছিলেন সিবিপি’র কর্মকর্তারা। আজ মধ্যরাতের পর তারা সেখানে মেক্সিকোর দু’টি সামরিক যান প্রবেশ করতে দেখেন। ওই সামরিক যান দু’টি আন্তর্জাতিক সীমানা পার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিল।’
পরে গতিরোধ করা হলে মেক্সিকোর সেনারা দাবি করে যে, তারা নিজেদের অজান্তেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে। এরপর নিরাপত্তার স্বার্থে মেক্সিকোর সেনাদের কাছে থাকা অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে নেয় মার্কিন সেনারা। পরে মেক্সিকান সেনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র। পরিস্থিতি সামলাতে অল্প সময়ের মধ্যে তারা সেখানে উপস্থিত হন।
রয়টার্স বলছে, আটককৃত ওই ১৪ সেনার মধ্যে ১৩ জনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। তবে মেক্সিকোর এক সেনার কাছে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য গাঁজা বা মাদক দ্রব্য থাকায় তাকে জরিমানার আওতায় আনা হয়।
সিবিপি জানিয়েছে, বেশ কয়েক ঘণ্টা আটক থাকার পর মেক্সিকোর ১৪ জন সেনা, তাদের অস্ত্র-সামরিক সরঞ্জাম ও গাড়ি ভোর পাঁচটার আগেই নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
এদিকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি মেক্সিকোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, মেক্সিকোর সেনাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ এবং আটকের ঘটনার পর দুই ঘণ্টা বর্ডার ক্রসিংটি বন্ধ ছিল।