এর আগে গত ২১ জানুয়ারি বিএসইতে সেনসেক্স সূচক ৫০ হাজার পয়েন্টের মাইলফলক অতিক্রম করে। তার মানে করোনাভাইরাসের পরিস্থিতিতে ২০২১ সালে এই সূচক ৫০ হাজার ও ৬০ হাজার পয়েন্টে উন্নীত ওঠার রেকর্ড করে।
১৯৯০ সালের ২৫ জুলাই ১০০০ পয়েন্ট থেকে সেনসেক্স সূচকের যাত্রা শুরু হয়। এরপর দীর্ঘ তিন দশকের অভিযাত্রায় সূচকটি একের পর এক রেকর্ড করে এখন ৬০ হাজার পয়েন্টে এসে উন্নীত হলো। অর্থাৎ ৩১ বছরে সূচকটি ৫৯ হাজার পয়েন্ট বেড়েছে।
২০০৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সূচকটি প্রথমবারের মতো ১০ হাজার পয়েন্টে ওঠে। এরপর মাত্র আট মাসেই আরও ১০ হাজার পয়েন্ট বেড়ে ২৯ অক্টোবর ২০ হাজার পয়েন্টে ওঠে। আর ২০১৫ সালের ৪ মার্চ সূচকটি ৩০ হাজার পয়েন্ট এবং ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ ৪০ হাজার পয়েন্টে ওঠে।
১৯৯২ সালে হার্ষা মেহতা কেলেঙ্কারি, ১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৯৯৯ সালে কারগিল যুদ্ধ, ২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে এবং ভারতের পার্লামেন্টে সন্ত্রাসী হামলাসহ সত্যম কেলেঙ্কারি, বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকট, পিএনবি কেলেঙ্কারি এবং কোভিড-১৯ মহামারিসহ ভারতে ও বিশ্বে নানা ঘটনা, কেলেঙ্কারি ও সংকটের মধ্যে শেয়ারবাজার বারবার অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। এসবের মধ্যেও শেষ পর্যন্ত সেনসেক্স সূচক এগিয়ে গেছে। গত শুক্রবার সেনসেক্স সূচকের নতুন মাইলফলক ছোঁয়ার পর বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আশিস কুমার চৌহান এক টুইট বার্তায় এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
চলতি বছরে সেনসেক্স সূচক ২৫ শতাংশ বেড়েছে। সবশেষ গত আগস্ট মাসে সূচকটি ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ ২০২০ সালের মার্চে কোভিড মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার পরিস্থিতিতে সূচকটি হঠাৎ ৮ হাজার ৮২৮ পয়েন্ট বা ২৩ শতাংশ খুইয়েছিল। তবে বছর শেষে তা ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। সূত্র: বিজনেস লাইন