তিনি বলেছেন, যুবক ও ডেসটিনির কথা শুনেছি। বাণিজ্যমন্ত্রণালয় যদি প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদ ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করে, তাহলে গ্রাহকদের ৫০ থেকে ৬০ ভাগ টাকা পরিশোধ হবে। কিন্তু সেটা আমি চাইলে তো হবে না, আইনমন্ত্রীর সহযোগিতা লাগবে। মন্ত্রীকে বলেছি, তিনি বলেছেন, এটি আদালতের ব্যাপার। আইনের ঝামেলা মেটাতে আদালতের রায় পেতে হবে।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন আয়োজিত ‘প্রতিযোগিতা আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এই কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, ‘ডেসটিনি ও যুবকের অনেক সম্পদ রয়েছে। সম্পদগুলোর দামও বেড়েছে অনেক। ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করলেও যে টাকা পাওয়া যাবে তা দিয়ে গ্রাহকদের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ টাকা ফেরত দেওয়া যাবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ই-কমার্স বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রচারমাধ্যম তথা সাংবাদিকদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল বাণিজ্য বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। গুটিকয়েক অসৎ প্রতিষ্ঠানের কারণে ই-কমার্স বন্ধ করে দেওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, করোনাকালে ই-কমার্স ভোক্তাদের সেবায় কাজ করে সুনাম অর্জন করেছে। বিগত দুটি ঈদুল আজহায় কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সরকার যথাযথ আইন প্রণয়ন করে সুশৃঙ্খলভাবে ই-বাণিজ্য পরিচালনার জন্য কাজ করছে। উৎপাদন খরচের চেয়েও কম দামে পণ্য দেওয়ার অফার বাস্তবসম্মত নয়, এটি বুঝতে হবে। সাধারণ মানুষকে এ ধরনের প্রলোভন দেখানো থেকে সরে আসতে হবে।