রোববার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রাম দাবান মাসারার ওই মাছবাজারে বিমান বাহিনীর দুইটি বিমান বোমা বর্ষণ করেছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। হামলার শিকার হুসাইনি নামে এক ব্যক্তি রয়টার্সকে বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আমার একজন বন্ধুও আছে। মাত্র তিন মাস আগে বিয়ে করেছিল সে।’
হুসাইনি জানান, তিনি নিজেও আহত হয়েছেন। গোলার আঘাতে তার পা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ সম্পর্কিত এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, দাবান মাসারা গ্রামের মানুষদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মৎসজীবী। গ্রামের নিকটবর্তী শাদ হ্রদে মাছ ধরাই তাদের প্রধান জীবিকা।
প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, হ্রদ ও তার আশপাশের এলাকা বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ করছে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক টেস্ট ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভি (আইএসডব্লিউএপি)। অর্থের বিনিময়ে ওই হ্রদ থেকে স্থানীয়দের মাছ ধরার অনুমতি দিয়েছিল এই জঙ্গিগোষ্ঠী।
আইএসডব্লিউএফপি’র অর্থ সংগ্রহ বন্ধ করতে ওই হ্রদে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও স্থানীয়রা সেখানে মাছ ধরে আসছিলেন বলে জানিয়েছেন দাবান মাসারা গ্রামের এক বাসিন্দা।
রোববার বিমান বাহিনীর হামলার পর গ্রামবাসীরা অন্তত ৬০টি মৃতদেহ দেখেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
“তারা আমাদের মতোই সাধারণ মানুষ, যারা জীবনধারণের জন্য মাছ ধরার ওপর নির্ভরশীল। তাদের ভুল হচ্ছে, তারা এমন এক জায়গায় মাছ ধরেছিল, যেটির ওপর নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর বিধিনিষেধ আছে,” রয়টার্সকে বলেছেন গ্রামটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ বাসিন্দা।
দাবান মাসারা গ্রামে কী ঘটেছে, সে বিষয়ে নাইজেরিয়ার সশস্ত্র বাহিনী আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
বিবিসির দেখা এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলায় এক জেলে নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছে বলে নাইজেরিয়ার বিমানবাহিনী দাবি করেছে।