শনিবার বাংলাদেশ ব্যাংক ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত ওই সার্কুলারে বলা হযেছে, রফতানিমুখী এবং সচল শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কর্মচারীদের বেতনভাতা প্রদানের জন্য জন্য বাজেট হতে ৫ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা তহবিল গঠন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগ। সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা প্রদানের জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশণা জারি করা হয়েছে। ওই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ এর ১৪ নং আইন) এর ১২১ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তফসিলি ব্যাংক-কোম্পানীসমূহকে আলোচ্য তহবিল হতে প্রদত্ত ঋণে একক ঋণ গ্রহীতার সর্বোচ্চ সীমা হিসাবায়নের ক্ষেত্রে ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ধারা ২৬খ-এর উপধারা (১) এর বিধান পরিপালন হতে সাধারণভাবে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
সাধারণত. ব্যাংকগুলো ইচ্ছে করলেই একজন গ্রাহককে বেশি পরিমাণ ঋণ দিতে পারে না। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সীমারেখা বেঁধে দেয়া আছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী একটি ব্যাংক নগদে তার মূলধনের ১৫ শতাংশের বেশি কোনো গ্রাহককে ঋণ দিতে পারে না। এর সাথে আরো ২০ শতাংশ ননফান্ডেড অর্থাৎৎ এলসি মার্জিন দিতে পারে। মোট কথা কোনো গ্রাহক ব্যাংক থেকে ব্যাংকের মোট মূলধনের ১৫ শতাংশের বেশি অর্থ নগদে নিতে পারেন না। এর বেশি নিতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদন সাপেক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন দিলে সেই ক্ষেত্রে ঋণ নিতে পারে।
জানা গেছে, করোনার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের শিল্প কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদানের জন্য সরকার ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে। ওই তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা নিতে গেলে অনেক গ্রাহকের এককঋণ সীমা অতিক্রম হয়ে যায়। বিশেষ করে প্রণোদনার অর্থ পেতে সহজ করতেই বাংলাদেশ ব্যাংক একক ঋণগ্রহতিার সীমা সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত শনিবার সকল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীকে অবহিত করা হয়েছে। এর ফলে একক ঋনগ্রহীতার সীমা অতিক্রম হলেও গ্রাহককে আর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে হবে না।