মা-ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করার লক্ষ্যে আশ্বিনের অমাবস্যা ও পূর্ণিমা মাঝে রেখে ২২ দিনের এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ সময়ে ইলিশ ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুত ও বিনিময়ও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারির এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘মৎস্যজীবীদের স্বার্থেই মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অভিযান পরিচালনা করা হয়। দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় যত কঠিন হওয়া লাগে, তত কঠিন হতে হবে।’
ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা গত বছরের তুলনায় অধিক সফল করতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ইলিশের দাম বেড়ে গেছে। মাছ বাজারগুলোতে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ।
মৎস্য বিভাগ জানায়, বঙ্গোপসাগরে ও নদীতে ইলিশের প্রজনন বাড়াতে প্রতিবছর আশ্বিনের পূর্ণিমার আগে ও পরে মোট ২২ দিন দেশের নদী ও সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়। এরপরও মার্চ-এপ্রিলে ৫টি, নভেম্বর-ডিসেম্বরে একটি অভয়াশ্রমে ২ মাস করে এবং গভীর সাগরে ৬৫টি দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়।