লিবিয়ার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে শনিবার (২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় গারগারেশ শহরে অভিবাসী-বিরোধী ব্যাপক এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। লিবীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, নথিপত্রহীন অভিবাসন এবং মাদক পাচার প্রতিরোধ করতেই এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
অভিবাসী-বিরোধী এই অভিযানের নেতৃত্ব দেয় লিবিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে অভিযান চালিয়ে কোনো মানব পাচারকারী অথবা চোরাচালানকারীকে আটক করা হয়েছে বলে কোনো তথ্য সামনে আনেনি মন্ত্রণালয়টি।
শুক্রবার লিবিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, এই অভিযানের মাধ্যমে নথিপত্রহীন ৫০০ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু শনিবার জানানো হয় আটককৃত অভিবাসীর সংখ্যা চার হাজারে পৌঁছেছে।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার (৭.৫ মাইল) পশ্চিমে অবস্থিত গারগারেশ শহরটি মূলত অভিবাসী ও শরণার্থীদের প্রাণকেন্দ্র। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানে অভিবাসী-বিরোধী বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা হতে দেখা গেছে। কিন্তু সর্বশেষ এই অভিযানকে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে বর্ণনা করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
লিবিয়ায় নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের ডিরেক্টর ড্যাক্স রক গত শুক্রবার দেওয়া এক বিবৃতিতে জানান, ‘নারী ও শিশুসহ পাঁচ শতাধিক (শুক্রবারের হিসেব অনুযায়ী) অভিবাসীকে নির্বিচারে আটক করা হয়েছে। তারা নির্যাতন ও দুর্ব্যবহারের শিকার হতে পারেন।’