শনিবার বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরে দলীয় কার্যালয়ে এক অনলাইন সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান সংগঠনের সমন্বয়ক মজিবুর রহমান মঞ্জু।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, জাতির গভীর ক্রান্তিকালে রাজনৈতিক নেতারা বিভক্ত, দলমত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে পরিস্থিতি মোকাবিলার কোনো উদ্যোগ নেই। ত্রাণসামগ্রী লুটপাট হচ্ছে, দরিদ্র মানুষ সমতার ভিত্তিতে খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছে না, মন্ত্রী ও সরকাত্রের কর্তাব্যক্তিরা দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দিচ্ছে। প্রচলিত এই রাজনীতি নাগরিকদের কল্যাণ ও জীবনরক্ষার রাজনীতি নয়।
বক্তব্যে তিনি করোনা পরিস্থিতিতে পাঁচটি সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি ব্যাখ্যা করেন। এছাড়া তিনি সরকারের নিকট করোনা সংক্রমণ রোধে কার্যকর পলিসি নির্ধারণ, চিকিৎসাসেবা মনিটরিং, সমতার ভিত্তিতে সাহায্য বণ্টনসহ ১১টি প্রস্থাব তুলে ধরেন।
জন আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রীয় সংগঠক সাবেক সচিব এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, জনগণকে স্বাস্থ্যসচেতন করতে আমাদের সংগঠন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। আমরা আমাদের সামর্থ্য দিয়ে দিন আনে দিন খাওয়া অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। জন আকাক্ষার বাংলাদেশ তার সমস্ত শক্তি নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করে যাবে।
জন আকাক্ষার সংগঠক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, এটি একটি বৈশ্বিক দুর্যোগ, পৃথিবী কখনো এ ধরনের বিপদের মুখোমুখি হয়নি। আজ সরকার, বিরোধী দল, ডাক্তার কিংবা অন্য কারও সমালোচনার দিন নয়, এই দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। জাতিকে উদ্ধারের জন্য সাহস না হারিয়ে সম্মিলিত চেষ্টায় এক সৃষ্টিকর্তার করুণায় দেশ ও জাতিকে করোনার বিপদমুক্ত একটি সূর্যোদয় দেখতে পাব বলে বিশ্বাস করি।
ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- প্রফেসর মেজর (অব.) আবদুল ওহাব মিনার, অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন রানা, শাহ আব্দুর রহমান, যুবনেতা সাজ্জাদ হোসাইন, আমিনুল ইসলাম এফসিএ, এবিএম খালিদ হাসান, বিএম নাজমুল হক, ওবায়দুল্লাহ মামুন, আনোয়ার সাদাত টুটুল, তরুণ আইনজীবী সাইদ নোমান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী।