সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের তেঁতুলিয়া ছাড়া সবগুলো বৃষ্টি পরিমাপক পয়েন্টে বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে, ১১৯ মিলিমিটার।
এ সময়ে ঢাকায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে খুলনা বিভাগে কোনো বৃষ্টি না হলেও বরিশালে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।
আজ সকাল থেকেই ঢাকার আকাশে ছিল রোদ ও মেঘের খেলা। সাড়ে ১১টার দিকে মেঘের আধিপত্যে রোদ মুছে যায়। এরপর শুরু হয় হালকা বৃষ্টি।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, পশ্চিমবঙ্গ ও কাছাকাছি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। মৌসুমি বায়ুর বর্ধিতাংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিম বঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে, ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।