দেশের সরকারি-বেসরকারি অধিকাংশ হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশে নতুন করে ১৯৭ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে ৯০১ জন ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের অধিকাংশই শিশু। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ১৯৭ ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে ৪২ দশমিক ১ শতাংশ রোগীর বয়স শূণ্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে শূণ্য থেকে ১ বছর বয়সী রোগীর সংখ্যা ৫ দশমিক ৬ শতাংশ এবং শূণ্য থেকে ১০ বছর বয়সী রোগীর সংখ্যা ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডাক্তার মো. কামরুল কিবরিয়া স্বাক্ষরিত ডেঙ্গু সংক্রান্ত পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট আক্রান্ত ১৯৭ জনের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ১৫ দশমিক ১ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছরের ১৯ শতাংশ,৩১ থেকে ৪০ বছরের ১১ দশমিক ৯ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৭ দশমিক ১ শতাংশ এবং ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী রয়েছেন শূণ্য দশমিক ৪ শতাংশ।
এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আজ (৫ অক্টোবর) পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি মোট রোগীর সংখ্যা ১৯ হাজার ১৩৩ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮ হাজার ১৫৯ জন।
গত ১ জানুয়ারি থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি ১৯ হাজার ১৩৩ জনের মধ্যে জানুয়ারিতে ৩২ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৯জন, মার্চে ১৩ জন, এপ্রিলে তিনজন, মে’তে ৪৩ জন, জুনে ২৭২ জন, জুলাইয়ে দুই হাজার ২৮৬ জন, আগস্টে সাত হাজার ৬৯৮ জন, সেপ্টেম্বরে সাত হাজার ৮৪১ জন এবং অক্টোবরের ৫ তারিখ পর্যন্ত ৯৩৬ জন রোগী ভর্তি হন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে যে দুজন মারা গেছেন, তাদের একজনের বয়স শূণ্য থেকে ১০ বছর এবং অপরজন ষাটোর্ধ্ব বয়সী।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৭৩ জনের মধ্যে জুলাই মাসে ১২ জন, আগস্টে ৩৪ জন, সেপ্টেম্বরে ২৩ জন এবং অক্টোবরে ৪ জনের মৃত্যু হয়।