তুরিনে জুভেন্টাসের ঘরের মাঠ অ্যালিয়েঞ্জ এরেনায় আক্রমণের পসরা সাজায় দুই দল। যেখানে প্রথমার্ধে দাপট ছিল বেলজিয়ামের, আর দ্বিতীয়ার্ধে স্পেনের। ৩৭তম মিনিটে ইয়ানিক কারাসকো বেলজিয়ামকে এগিয়ে দেন। বাঁ প্রান্ত ধরে এগিয়ে গিয়ে ফরাসি গোলকিপার হুগো লরিসকে হতবাক করেন তিনি। কাছের পোস্টে ভুল দিকে পা বাড়ালে চোখের সামনে দিয়ে জালে জড়ায় বল।
তিন মিনিট পর আরেকটি গোলে ফ্রান্স বড় ধাক্কা খায়। রোমেলু লুকাকু তার মার্কার লুকাস হার্নান্দেজকে বোকা বানিয়ে কেভিন ডি ব্রুইনার সাদামাটা পাস ধরে গোল করেন। তিন মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে প্রথমার্ধ ২-০ তে এগিয়ে থেকে শেষ করে বেলজিয়াম।
ম্যাচ তখন হাতের মুঠোয় নেই ফ্রান্সের। কিন্তু তারা হাল ছাড়েনি। কিলিয়ান এমবাপ্পে ও করিম বেনজেমার সঙ্গে আন্তোয়ান গ্রিয়েজম্যানের আক্রমণভাগে নাটকীয়ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ফরাসিরা। ৫৮ মিনিটে এমবাপ্পের ক্রস থেকে গ্রিয়েজম্যান ভারসাম্য হারিয়ে সুযোগ নষ্ট করেন। চার মিনিট পর গোল শোধ দেয় ফ্রান্স।
এমবাপ্পের কাছ থেকে বল নিয়ে পেছনে ঘুরে বেনজেমা কোনাকুনি শটে স্কোর ২-১ করেন। ৬৬ মিনিটে টিয়েলেম্যানস বক্সের মধ্যে ফাউল করেন গ্রিয়েজম্যানকে। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ফরোয়ার্ডের আপিলে রেফারি পিচসাইড মনিটরে দেখে পেনাল্টি দেন। ৬৯ মিনিটে উঁচু জোরালো শটে থিবো কোর্তোয়াকে পরাস্ত করে সমতা ফেরান এমবাপ্পে। ছয় ম্যাচ পর প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করেন পিএসজি তারকা।
বাকি সময়ে দুই দল জয়সূচক গোলের জন্য হন্যে হয়ে ওঠে। ৭৩ মিনিটে ডি ব্রুইনার শট গোলবারের উপর দিয়ে যায়। চার মিনিট পর গ্রিয়েজম্যান ও পল পগবাকে পরপর দুইবার প্রত্যাখ্যাত করে ফ্রান্সকে হতাশ করেন কোর্তোয়া।
৮৭ মিনিটে লুকাকু ফ্রান্সের জাল কাঁপালেও উল্লাস করতে পারেনি বেলজিয়াম। কারাসকোর ক্রসে বল পায়ে নেওয়ার আগে অফসাইডে ছিলেন তিনি। ভিএআরে তার গোল বাতিল হয়। দুই মিনিট পর ফ্রি কিক থেকে পগবার শট ক্রসবারে আঘাত করে। শেষ পর্যন্ত জয়সূচক গোলের দেখা পায় ফ্রান্স। দুর্দান্ত কাউন্টার অ্যাটাকে বল নিয়ে বক্সে ঢোকেন হার্নান্দেজ, সামনে বেনজেমা থাকলেও তাকে পাস নিয়ে নিজেই লক্ষ্যে শট নেন তিনি এবং সিদ্ধান্তটা ভুল নেননি। কোর্তোয়াকে পরাস্ত করে বেলজিয়ামকে চমকে দেন হার্নান্দেজ।