শনিবার (১১ এপ্রিল) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে সকল জেলা প্রশাসকদের কাছে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, করোনা প্রতিরোধে মানবিক সহায়তা হিসেবে ত্রাণসামগ্রী ও শিশুখাদ্য বরাদ্দ প্রদান করা হচ্ছে। বরাদ্দকৃত ত্রাণসামগ্ৰী ও শিশুখাদ্য প্রয়োজন অনুযায়ী জেলা প্রশাসকরা সব সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে উপ-বরাদ্দ দেন। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা ইউপি চেয়ারম্যানের অনুকূলে সরকারি আদেশ জারি করা হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ত্রাণসামগ্রী ও শিশুখাদ্য মোড়ক বা প্যাকেট বা বস্তায় বিতরণ করতে হবে। মোড়ক বা প্যাকেট বা বস্তার গায়ে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি ছবিসহ ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার’ লিখতে হবে। মোড়ক বা প্যাকেট বা বস্তার গায়ে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’ সম্বলিত গোল সিল ব্যবহার করতে হবে।
ত্রাণসামগ্রী ও শিশুখাদ্য উত্তোলন এবং বিতরণে সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসারগণ সার্বক্ষণিকভাবে উপস্থিত থাকবেন। এ ক্ষেত্রে কোনো প্রকার ব্যত্যয় ঘটানো যাবে না বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, এসব ত্রাণসামগ্রী ও শিশুখাদ্য বিতরণে স্বচ্ছতা ও জবাবহিদিতা নিশ্চিতকরণে ইতোপূর্বে এই মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত সকল বিধি-বিধানের সঙ্গে এসব নির্দেশনা বাধ্যতামূলকভাবে প্রতিপালন করতে হবে।
করোনার সংক্রমণ রোধে প্রথম ধাপে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় পরে তিন দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সেই ছুটি বাড়ানো হয়। এ সময়ে মানুষকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। এতে শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
তাই সরকার পাঁচ দফায় ৬৪ জেলার কর্মহীন ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ২৮ কোটি ৪৫ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা (শিশুখাদ্য কেনাসহ) ও ৬৫ হাজার ৯৬৭ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়।