স্থানীয় সময় সোমবার (১১ অক্টোবর) প্রকাশিত হয় গবেষণা প্রতিদেনটি। এতে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের ৫০ বছরের উর্ধ্বে ২ কোটি ২৬ লাখ মানুষকে গবেষণার আওতায় আনা হয়। টিকাগ্রহীতাদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে, এটি অতিসংক্রামক করোনার ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধেও কার্যকর।
মহামারি বিশেষজ্ঞ ও গবেষণাটি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা মাহমুদ জুরেখ বলেন, দেখা যাচ্ছে যে, যারা করোনা প্রতিরোধে টিকা নিয়েছেন তাদের মৃত্যুঝুঁকি বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি ৯০ শতাংশ কম, যারা টিকা নেননি তাদের চেয়ে।
গবেষণা কাজে নিয়োজিত ছিলো ইপি-ফেয়ার নামে একটি বৈজ্ঞানিক টিম, যেটি ফ্রান্সের স্বাস্থ্যব্যবস্থা গঠন করে দেয়। জাতীয় স্বাস্থ্য বিমার আওতায় তারা এ গবেষণা সম্পন্ন করে।
গবেষণার ক্ষেত্রে এক কোটি ১৩ লাখ, ৫০ বছরের বেশি বয়সী মানুষ যারা টিকার ডোজ সম্পন্ন করেছেন তাদের সঙ্গে একই সমান টিকা না নেওয়া মানুষের তুলনা করা হয়। ২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর যখন ফ্রান্সে টিকা দেওয়া শুরু হলো তখন থেকেই গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহ শুরু হয় এবং চলে গত ২০ জুলাই পর্যন্ত।
গবেষণা প্রতিবেদনে থেকে আরও জানা যায়, টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পর থেকে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার শঙ্কা ৯০ শতাংশ কমে। দেখা গেছে, করোনার টিকা ৭৫ থেকে বেশি বয়সীদের শরীরে ডেল্টার বিরুদ্ধে ৮৪ শতাংশ সুরক্ষা দেয়। ৫০ থেকে ৭৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এ হার ৯২ শতাংশ।
ইপি-ফেয়ারের গবেষণায় নেওয়া হয়েছে ফাইজার, মডার্না আর অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। সেখানে দেখা গেছে, টিকা নেওয়ার পর করোনায় গুরুতর সংক্রমণ ঠেকাতে পাঁচ মাস পর্যন্ত সুরক্ষার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয়না।
মহামারি বিশেষজ্ঞ মাহমুদ জুরেখ আরও বলেন, এটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে মূল্যায়ন করা হয়েছে। ডেল্টা ধরনের ক্ষেত্রে আরও কার্যকর ফলাফলের জন্য গবেষণা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।