দেশটির কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যার দিকে ফিলিপাইনের বেশ কয়েকটি উপকূলে আছড়ে পড়ে কম্পাসু। এই ঝড়টির আগে আর একটি ছোট ঘুর্ণিঝড় দানা বাঁধছিল, সেটিকে গ্রাস করে নিয়েছে কম্পাসু। ফলে তার শক্তি বেড়েছে কয়েকগুণ।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দেশের যেসব এলাকায় সরাসরি আঘাত হেনেছে কম্পাসু, ঝড় বয়ে যাওয়ার সময় সেসব স্থানে বাতাসের গতিবগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারেরও (৬২ মাইল) বেশি।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ঝড়ো বাতাস ও মুষলধারে বর্ষণের প্রভাবে সৃষ্ট ভূমিধসে ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ বেনগুয়েতে ৪ জন মারা গেছেন। একই কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় দেশটির দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় দ্বীপরাজ্য পালাওয়ানে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৫ জন।
এছাড়া, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিধসের কারণে নিখোঁজ হয়েছেন আরও ১১ জন। তাদের উদ্ধারে তৎপরতা জারি আছে বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলো থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৬০০ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপের মতো ফিলিপাইন রাষ্ট্রটিও আসলে একটি দ্বীপপুঞ্জ। এই দ্বীপপুঞ্জে মোট দ্বীপের সংখ্যা ৭ হাজার ৬০০ টিরও বেশি। প্রতিবছর প্রায় ২০ টি ঝড় কিংবা ঘূর্ণিঝড় আঘাত হাতে এসব দ্বীপে এবং এসব ঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক বর্ষণের কারণে ভূমিধস ফিলিপাইনে একটি নিয়মিত ঘটনা।
দেশটির প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতার্তের মুখপাত্র হ্যারি রকু রয়টার্সকে জানিয়েছেন, জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের উদ্ধার অভিযান নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন প্রেসিডেন্ট।