বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ব ব্যাংক–আইএমএফের বার্ষিক সভা-২০২১ এর সাইড লাইনে কমনওয়েলথ অর্থমন্ত্রীদের একটি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কমনওয়েলথভুক্ত ৫৪টি দেশের অর্থমন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন আ হ ম মু্স্তফা কামাল।
এতে আরও বলা হয়, এবারের কমনওয়েলথ ফিন্যান্স মিনিস্টার্স মিটিংয়ে (সিএফএমএম) মালয়েশিয়ার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব এবং ব্রুনেইয়ের সমর্থনে ২০২২-এর কমনওয়েলথ ফিন্যান্স মিনিস্টারস মিটিংয়ের সভাপতি নির্বাচিত হন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মু্স্তফা কামাল।
কমনওয়েলথ সভায় অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত এক দশক গড়ে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যেও গত বছর বৈশ্বিক অর্থনীতি ৩ শতাংশ সংকুচিত হলেও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশ শীর্ষ পাঁচটি সহনশীল অর্থনীতির দেশের মধ্যে রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সদ্য অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সভার টেকসই উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০২১-এ আমাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করেছে।
মুস্তফা কামাল বলেন, কমনওয়েলথের একটি গৌরবময় অতীত আছে, ১৭৬৯ সালে যুক্তরাজ্য থেকে বাষ্প ইঞ্জিন আবিষ্কারের মাধ্যমে প্রথম শিল্পবিপ্লবের যাত্রা, যা সত্যিই বিশ্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নের শিখা জ্বালিয়েছিল। ১৭৭১ সালে সত্যিকারের কারখানা বলতে যা বোঝায়, সেটি প্রথম যুক্তরাজ্যের ডার্বিশায়ারের ক্রমফোর্ড নামক গ্রামে নির্মিত হয়েছিল। সর্বজনবিদিত একটি সত্য হচ্ছে, সপ্তদশ শতাব্দীতে কমনওয়েলথভুক্ত ভারত উপমহাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ ছিল। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আন্তঃকমনওয়েলথ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জ্ঞান, প্রযুক্তি ও উত্তমচর্চা শেয়ারের মাধ্যমে কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহ অধিকতর আর্থসামাজিক সমৃদ্ধি লাভ করতে পারে।
সভায় অ্যান্টিগুয়া এবং বার্বুডার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউন সভাপতিত্ব করেন। এতে যুক্ত ছিলেন কমনওয়েলথ সচিবালয় মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা।
তারা টেকসই এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে ঋণ, বৈশ্বিক ন্যূনতম ট্যাক্স চুক্তি এবং কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুসমূহে এর প্রভাব, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত হুমকি মোকাবিলায় ঋণ এবং কমনওয়েলথ ক্লাইমেট ফিন্যান্স অ্যাক্সেস হাবসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন।