এতে বলা হয়, বেলগ্রেডে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার ভুসিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনকে এ আগ্রহের কথা জানান।
সার্বিয়ার চলমান উচ্চাভিলাষী উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য যে বিশাল মানবসম্পদের প্রয়োজন তা পূরণে বাংলাদেশের দক্ষ ও আধা-দক্ষ আইটি পেশাজীবী, ইলেক্ট্রিশিয়ান, প্লাম্বার নিয়োগের প্রস্তাব দেন মোমেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ প্রস্তাব সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট সাদরে গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ থেকে শ্রম ও জনশক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া তৈরিতে জোর দেন ভুসিক।
বৈঠকে দুই বন্ধু দেশের মধ্যে শক্তিশালী বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সংযোগ গড়ে তোলার ওপর জোর দেন মোমেন। সার্বিয়ান বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশ থেকে আমদানি করার এবং সরকারের দেয়া চমৎকার বিনিয়োগের পরিবেশ ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
করোনাভাইরাস মহামারির চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রেসিডেন্ট ভুসিক।
বৈঠকে ঢাকা ও বেলগ্রেডের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং ঐতিহ্যগতভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে মোমেন বলেন, এ সম্পর্ক ইতিহাসে নিহিত। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসিপ ব্রোজ টিটোর ব্যক্তিগত বন্ধুত্বকে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন তিনি।
সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট এটা জানতে পেরে উচ্ছ্বসিত হন যে, বাংলাদেশ বর্তমানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে।
বৈঠকে বাংলাদেশ ১২ লাখ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) আশ্রয় দিয়েছে উল্লেখ করে তাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমার জান্তার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে সার্বিয়ার প্রতি আহ্বান জানান মোমেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করে ভুসিক জানান, এ সমস্যা সমাধানে ঢাকার পাশে থাকবে তার দেশ।