ওয়েবসাইটটির পরিসংখ্যান বলছে, শুক্রবার বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৩৪৬ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৯৫৩ জনের। পাশপাশি, এই দিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৩ লাখ ৯২ হাজার ৮১০ জন।
আগের দিন, বৃহস্পতিবার বিশ্বে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ জন। ওইদিন এ রোগে মারা গিয়েছিলেন ৭ হাজার ৬৬৩ জন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ৪ লাখ ৫৮২ জন।
অর্থাৎ, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ১৬ হাজার ২৫৪ জন এবং মৃতের সংখ্যা কমেছে ৭১০ জন।
এবং, এই সময়সীমার মধ্যে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা কমেছে ৭ হাজার ৭৭২ জন।
বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও করোনায় নতুন আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসেবে বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, এই দিন দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯২ হাজার ৯৬৬ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ১ হাজার ৭০৫ জন।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্যান্য যেসব দেশে করোনায় সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে সে দেশসমূহ হলো – যুক্তরাজ্য (নতুন রোগী ৪৪ হাজার ৯৩২, মৃত্যু ১৪৫), রাশিয়া (নতুন রোগী ৩২ হাজার ১৯৬, মৃত্যু ৯৯৮) ওতুরস্ক (নতুন রোগী ৩০ হাজার ৬৯৪, মৃত্যু ১৮১)।
করোনায় বিপর্যস্ত দুই দেশ ভারত ও ব্রাজিলে কমে আসছে এ রোগের সংক্রমণ ও মৃত্যু। শুক্রবার ভারতে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৩ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ১৬৩ জন। অন্যদিকে, এই দিন ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ২৩৯ জন এবং এ রোগে দেশটিতে মারা গেছেন ৫২৬ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত করোনায় বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৪ কোটি ৮ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৬ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন মোট ৪৯ লাখ ৪ হাজার ৬৪৫ জন।
এছাড়া, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ২১ কোটি ৮০ লাখ ৭৬ হাজার ৭৮৯ জন।
বর্তমানে বিশ্বে সক্রিয় করোনারোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৭৮ লাখ ৪১ হাজার ৯৪২ জন। আক্রান্ত এই রোগীদের মধ্যে মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ৭৭ লাখ ৬২ হাজার ৪২০ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৭৯ হাজার ৫২২ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।