বোর্ড সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, পুনঃনিয়োগ প্রাপ্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক আফতাব উল ইসলাম প্রমুখ।
চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক ঋণের সুদহার বেড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগ কমে গেছে। উদ্যোক্তাদের সুযোগ না দিলে দেশের সার্বিক বিনিয়োগ ব্যাহত হবে। তাই শিল্প ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার চিন্তা করা হচ্ছে।
সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনতে ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামানকে প্রধান করে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি সুদহার কমানোর জন্য বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। সেই সুপারিশ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ আজ সিদ্ধান্ত নিলে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানান, শিল্পঋণে এক অঙ্কের সুদহার বিষয়ক এজেন্ডা সমর্থন করেছে বোর্ড। শিগগিরই এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করা হবে। গ্রাহক এ সুবিধা পাবেন আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে।
ব্যাংক খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুদহার এক অঙ্কে নামানো হলে উৎপাদন খাতের উদ্যোক্তারাই সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বেন। কারণ, তহবিল খরচ বেশি হওয়ায় ব্যাংকগুলোর পক্ষে এখনই ৯ শতাংশ সুদ কার্যকর করা কঠিন। তাই তারা এ খাতে ঋণ দেওয়ায় সতর্কতা অবলম্বন করবে। এ জন্য তাদের আমানতের সুদের হার কমাতে হবে। ফলে ব্যাংক খাতে আবারও তারল্যসংকট তৈরি হতে পারে। আবার বৈদেশিক ব্যবসাতেও খরচ বেড়ে যেতে পারে। সব মিলিয়ে ভাবমূর্তির সংকটে পড়বে ব্যাংকগুলো।