ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারী দেয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) খলিল আহমদ স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে। এতে আরো জানানো হয়, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে ২০১৯ সালের সমাপ্ত বছরের দক্ষতা মূল্যায়নের জন্য কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
তথ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই পালনীয় কিছু নির্দেশনা দিয়েছে আইডিআরএ। সেগুলো হলো- সফট কপি এক্সএল শীট-এ হবে। কর্তৃপক্ষ থেকে যে এক্সএল শীট প্রেরণ করা হয়েছে সেই শীটে ডাটা এন্ট্রি করতে হবে এবং এই এক্সএল শীট এর আকার এবং ফন্ট পরিবর্ত করা যাবে না। কর্তৃপক্ষের সরবরাহকৃত ছকে ইংরেজিতে ডাটা এন্ট্রি দিতে হবে। মিলিয়ন বা কোটিতে সংখ্যা না লিখে পূর্ণ অংকে ডাটা এন্ট্রি দিতে হবে। প্রত্যেকটি টোটাল এর সেল পূরণ করতে হবে অর্থাৎ কোন সেল খালি রাখা যাবে না। ছক পুরণপূর্বক সফট কপি klahmed5813@gmail.com ও idra.pr.bd@gmail.com এই দুটি ই-মেইলে দিতে হবে।
সাধারণ বীমা করপোরেশনকে রি-ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম ব্যতিরেকে শুধুমাত্র ডাইরেক্ট বা সরাসরি ব্যবসার তথ্য সরবরাহ করতে হবে। যে সকল বীমাকারীর সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান আছে তাদেরকে টোটাল এসেট বা মোট সম্পদ এবং টোটাল লায়াবিলিটির ক্ষেত্রে কনসলিডেটেড ব্যালান্স শীট থেকে ফিগার এ দিতে হবে। ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সনের তথ্য প্রদানের সময় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ৩১ ডিসেম্বরের স্থিতির হিসাব প্রদান করতে হবে (যেমন বিনিয়োগ, সম্পদ এবং লাইফ ফান্ড ইত্যাদি। রেশিও এনালাইসিস বৎসর ভিত্তিক হিসাব মোতাবেক অবশ্যই দিতে হবে। ডাটা ফরমেটে অবশ্যই বীমাকারীর নাম লিখতে হবে। ডাটা শীট এর হার্ড কপির প্রতিটি পৃষ্ঠায় বীমাকারীর সিইও এবং সিএফও এর স্বাক্ষর ও সীল থাকতে হবে।
ইন্স্যুরেন্স কভারেজের ক্ষেত্রে উপকারভোগীর সংখ্যা লিখতে হবে। এ ক্ষেত্রে একক, ক্ষুদ্র ও গ্রুপ বীমার উপকারভোগীর সংখ্যা এবং নন-লাইফে স্বাস্থ্য বীমাসহ এক্সিডেন্টাল বীমাসমূহের মাধ্যমে উপকারভোগীর সংখ্যা উল্লেখ করতে হবে। সংযুক্ত ছকে তথ্যসমূহ যাচাই-বাছাইপূর্বক প্রকৃত তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো এবং একই সাথে কৃত্রিম তথ্য প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হল। বীমাকারীর সরবরাহকৃত তথ্য ভুল বা মিথ্যা প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষ বীমা আইন, ২০১০ এর ১৩১ ধারার বিধান মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।