করোনার কারণে সরবরাহ সংকট, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং কিছু জায়গা নতুন কোভিড বিধিনিষেধের মুখোমুখি হওয়ায় প্রবৃদ্ধি কমেছে। তবে অক্টোবর থেকে সংক্রমণের মাত্রা অনেক কমে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রে। তাই প্রবৃদ্ধি আবারও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, তৃতীয় প্রান্তিকে কোভিড-১৯–এর ডেলটা ভেরিয়েন্টের ঢেউ ওঠায় দেশের কিছু অংশে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ হয়, কোনো কোনো জায়গায় লকডাউন কর্মসূচি দীর্ঘ করা হয়। যার প্রভাব দেখা যাচ্ছে। মহামারির মধ্যে ব্যবসার যে ঋণ দেওয়া হচ্ছিল, রাজ্য ও স্থানীয় সরকারের অনুদান এবং পরিবারগুলোর জন্য সামাজিক সুবিধা—সবই কমেছে।
অন্য জিনিসের মধ্যে, এই সময়ের মধ্যে বড় বড় পণ্যের বিক্রি ব্যাপক কমেছে। বিশেষ করে নতুন গাড়ির বিক্রি তীব্রভাবে কমে গেছে। এটির মূল কারণ, সেমিকন্ডাক্টরের ঘাটতির কারণে গাড়ির দাম বেড়েছে। একই সময়ে মার্কিন সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে। কারণ, মানুষ বাইরে খাওয়া ও হোটেলে থাকার জন্য কম ব্যয় করেছেন।
মহামারি আঘাতের কারণে গত বছর মার্কিন অর্থনীতি তীব্রভাবে সংকুচিত হয়েছিল। তবে চলতি বছরের প্রথমার্ধ থেকে তা আবার ঘুরে দাঁড়ায়। তবে মাঝামাঝিতে এসে আবার ডেলটা ভেরিয়েন্টের নেতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে অর্থনীতিতে। সেপ্টেম্বরে অর্থনীতিতে ১ লাখ ৯৪ হাজার কর্মসংস্থান যোগ হয়েছে, যা অর্থনীতিবিদেরা ৫ লাখ হবে বলে আশা করেছিলেন। সেই সঙ্গে বেড়েই চলে মূল্যস্ফীতি। সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৪। বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ঘাটতির নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মার্কিন অর্থনীতিতে।