জেলহত্যা দিবসে (৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডে পুরাতন কারাগারে জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘জেলখানা পৃথিবীতে সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। সেক্ষেত্রে কীভাবে আইন ভঙ্গ করে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে সবাই জানে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে এবং রায় আংশিক কার্যকর হয়েছে। আর পলাতক আসামিদের আমরা খুঁজে বেড়াচ্ছি। আমরা নিজেদের আওতায় আসামিদের পেলে ফাঁসির রায় কার্যকর হবে। জেলহত্যার রায় কার্যকরের জন্য আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মতো জেলহত্যাকে ঘৃণ্যতম মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ‘এগুলো কারা ঘটিয়েছে তা সবাই জানে। অনেক হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার সামরিক আদালতে করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার প্রচলিত বিচারব্যবস্থায় হয়েছে এবং তাদের ফাঁসি হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান সেনা বিদ্রোহের নামে যে শত শত লোককে হত্যা করেছে, সেটিও একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। ওই ঘটনায় নিহতদের পরিবার এখনও আহাজারি করে। তারা জানতে চায়, তাদের বাবা-স্বামীকে কেন ও কীভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং তাদের কবর কোথায়। কোথায় তাদের দাফন করা হয়েছে তা এখনও কেউ জানে না। হত্যার পর মৃতদেহগুলো পরিবারের হাতে দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে একটি রিট আবেদন রয়েছে হাইকোর্টে। আমরা রায়ের জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা চাই, সকল দোষী ব্যক্তির বিচার যেন হয়। নিহতদের পরিবার যে আপিল করেছে তাতে আদালতে একটি সুষ্ঠু দিকনির্দেশনা দেবেন বলে আমরা মনে করি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পর ফুল দিয়ে জাতীয় চার নেতাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদের ছেলে তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ, সিমিন হোসেন রিমি, শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে রেজাউল করিম, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনিসুর রহমানসহ অনেকে।