বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১: বিল্ডিং সাস্টেইনেবল গ্রোথ পার্টনারশিপ’ শীর্ষক রোড শোতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এই রোড শোর আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশ বিশ্বের ৬০টি দেশে ১বিলিয়ন ডলারের আইসিটি পণ্য রপ্তানি করে। আমরা ইতোমধ্যে হাইটেক পার্কে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছি।
যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয়। এছাড়াও সবজি-ফিশারিজ রপ্তানিতে তৃতীয়। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ (বিএসইসি) অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলো আপনাদের সর্বোচ্চ সেবা দিবে। অনেকে বিনিয়োগ করে ভালো রিটার্ন নিচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা নিজের দেশে (বাংলাদেশ) বিনিয়োগ করুন। ব্রিটিশ পার্টনারদেরও আনুন। সব সুযোগ সুবিধা পাবেন। সমস্যা হলে আমি তো আছি, বিশেষ ব্যবস্থায় সুযোগ পাবেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে ডকুমেন্টারি উপস্থাপনা করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ হওয়ার সময় শূন্য ছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ঘুরে দাঁড়াতে কাজ শুরু করেছেন। এটি সহজ ছিল না। তবে সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
এসময় বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে নতুন বন্ড আসছে। পারপেচুয়াল বন্ডসহ অনেকগুলো বড় বন্ড আসবে। আমাদের মার্কেটে আমরা বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ রিটার্ন দিচ্ছি।
রোড শোতে উপস্থিত আছেন- প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাদিয়া মুনা তাসনীম, যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য নীতি প্রতিমন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট, ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের গ্রুপ চেয়ারম্যান জোস ভিনালস, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভলেপমেন্ট অথরিটির (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিম, বেপজা চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম।