গতকাল মুদ্রানীতি কমিটি বর্তমান হারের কোনো পরিবর্তন না করার পক্ষে ৭-২ ভোট দিয়েছে। বর্তমানে সুদের হার শূন্য দশমিক ১ শতাংশ, যা রেকর্ড কম। মুদ্রানীতি কমিটি বলেছে, ফারলো স্কিম শেষ হলে যে চাকরির বাজার কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়, সে অপেক্ষা করার প্রয়োজন রয়েছে। তবে ডিসেম্বরে তাদের পরবর্তী বৈঠকে যে সুদের হার বাড়ানো হবে না, সে কথা বলেনি তারা। ধারণা করা হচ্ছে, ডিসেম্বরেই সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসবে। ছয় সপ্তাহ পরপর বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারকেরা।
কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর খুব দ্রুতই সুদের হার বাড়ানোর পক্ষে ছিলেন। আর্থিক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও মনে করছেন, আগামী বছরের শেষ নাগাদ সুদের হার ১ শতাংশ হবে।
বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরায় চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাজ্যে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বেড়েছে। কারখানা ও ব্যবসাগুলো কর্মী ঘাটতিতে থাকায় বিপুল পরিমাণ কার্যাদেশের সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে। ফলে পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশঙ্কা করছে, আগামী এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ ৫ শতাংশে উঠবে, যা সেপ্টেম্বরে ৩ দশমিক ১ শতাংশ ছিল। এটি হবে এক দশকের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ হার এবং ব্যাংকের ২ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। ব্যাংক বলেছে, পরিবারগুলোর জন্য গ্যাস–বিদ্যুতের দাম আরও বাড়বে। নীতিনির্ধারকেরা আরও বলেছেন, বড়দিনের কারণে খাবারের দাম আরও বাড়বে।