বিবিসি জানায়, সরবরাহ সমস্যা, নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া, কারখানা বন্ধ হওয়া এবং বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে খাবারের দাম বেড়ে যাচ্ছে। খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বলেছে, খাদ্যশস্যের দাম এক বছর আগের তুলনায় ২২ শতাংশ বেড়েছে।
গত ১২ মাসে গমের দাম ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি খাদ্যশস্যের দাম বাড়ায় বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে। বলা হচ্ছে, প্রধান রপ্তানিকারক দেশ কানাডা, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে গমের আবাদ কম হওয়াই এর দাম বাড়ার কারণ।
খাদ্যশস্য উৎপাদন কমে যাওয়ার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনকেও দায়ী করেছে এফএও।
অস্ট্রেলিয়ার 'কার্টিন বিজনেস স্কুল'-এর কৃষি বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ পিটার ব্যাট বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে খাদ্যশস্যের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। বিশ্বের অনেক জায়গায় আমরা শস্য উৎপাদনে কয়েক বছর ধরে খুব খারাপ সময় পার করেছি।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বলছে, পাম, সয়াবিন, সূর্যমুখীর তেল ও সরিষার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে। তাছাড়া, শ্রমিক সংকটের কারণে খাবার উৎপাদন ও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে তা পরিবহনের ব্যয় বেড়েও খাবারের দাম বেড়ে যাচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এফএওর খাদ্য মূল্যসূচক গত মাসে সর্বোচ্চে উঠেছিল, যা ২০১১ সালের জুলাইয়ের পর থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি।
২০২১ সালে বিশ্বে খাদ্যশস্যের বাম্পার ফলনের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বছরের শেষ দিকে এসে খাদ্যশস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হ্রাস করা হয়েছে। আগামী মৌসুমে খাদ্যশস্যের উৎপাদনে প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে সংকোচন হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এফএও। ইরান, তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রে গমের উৎপাদন কম হওয়ায় সার্বিক উৎপাদনের এ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েছে এফএও। সূত্র: খবর এএফপি।