শনিবার (৬ নভেম্বর) ভার্চুয়ালি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে তার প্রতিফলন ঘটবে। ২০১৬ সালেও জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস করা হয়েছিল। জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধি ও পাচার রোধে মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে সরকার ৪ নভেম্বর দেশে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করেছে। যদিও আশপাশের অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডিজেলের মূল্য এখনো কম। আজ (৬ নভেম্বর) ভারতের কলকাতায় প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্য ছিল ৮৯ দশমিক ৭৯ রুপি বা ১০৪ টাকা। ২৬টি স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন যে পরিমাণ পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকে তাও বিবেচনার বিষয়। পাচারের আশঙ্কা তো রয়েছেই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ইলেকট্রিক যানবাহনের দিকে যেতে হবে। বিশেষ করে পাবলিক পরিবহনগুলো ইলেকট্রিক করা গেলে দেশে পরিবেশবান্ধব যানবাহন নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রিক যানবাহনের ইঞ্জিনের দক্ষতাও বেশি, সাশ্রয়ীও। তেল আমদানি খরচও কমে যাবে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে জনজীবনে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কায় এ নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে বাস চালানো বন্ধ রেখেছেন মালিকরা। লঞ্চ মালিকরা ভাড়া দ্বিগুণ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন সরকারের কাছে। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় শনিবার বিকেল থেকে লঞ্চ না চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন মালিকরা।