করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বছরের প্রথম তিন মাস কারখানা বন্ধ থাকায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি এমন নাজুক অবস্থায় পড়েছে।
১৪টি প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, প্রথম প্রান্তিকে গত বছরের তুলনায় চীনের অর্থনীতি ৮ দশমিক ২ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। এর আগে ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে এমন সংকোচন দেখা গিয়েছিল।
বিশ্লেষকরা আরো পূর্বাভাস দিয়েছেন, দেশটির পুরো বছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে আসবে, যা গত বছরের ৬ দশমিক ১ থেকে নাটকীয় হ্রাস।
পূর্বাভাসটি সঠিক হলে এটা কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান মাও সে তুং মারা যাওয়ার বছর ১৯৭৬ সালের পর সবচেয়ে খারাপ বার্ষিক প্রবৃদ্ধির প্রতিনিধিত্ব করবে। গত মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) দেশটিতে ১ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আরো মারাত্মক প্রাক্কলন দিয়েছে। আইএমএফ জানিয়েছে, নবেল করোনাভাইরাস মহামারী এ বছর বৈশ্বিক উৎপাদন ৩ শতাংশ কমিয়ে দেবে।
মুডি’স অ্যানালিটিকসের অর্থনীতিবিদ জু শিয়াওচুন বলেছেন, চীনের মন্দা যে কারো প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হতাশাজনক। চীনের জনবল প্রত্যাশার চেয়ে ধীরগতিতে কাজে ফিরে এসেছিল, যা উল্লেখযোগ্য সংকোচনের দিকে ইঙ্গিত করে।
কাজে ফিরে আসতে ধীরগতি দেশটির বেকারত্বের হারেও প্রভাব ফেলেছে। এরই মধ্যে দেশটিতে গত ডিসেম্বরের তুলনায় বেকারত্বের হার বেড়েছে। যদিও চীনের ভাইরাস পরিস্থিতি অনেকাংশে উন্নত হয়েছে।
তবে বহুজাতিক বিনিয়োগ সংস্থা জেপি মরগানের চীনের প্রধান অর্থনীতিবিদ ঝু হাইবিন বলেন, বর্তমানে ভাইরাসটির বহিরাগত ঝুঁকি সম্ভবত চীনের রফতানির সঙ্গে সম্পর্কিত উৎপাদনশীলতায় প্রভাব ফেলবে। এতে প্রত্যাশিত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারকে বাধাগ্রস্ত করবে।