প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৫ এপ্রিল বুধবার দুপুরে শহরের চাষাঢ়া গোল চত্ত্বর এলাকায় অহেতুক ঘর থেকে বের হয়ে আসা কয়েকজন যুবককে সচেতন করতে দিক নির্দেশনা দিতে সেনা সদস্যদের দেখা গেছে।
একই সঙ্গে হ্যান্ড মাইকে মানুষকে বাসায় থাকার নির্দেশনাও দেয়া হয়। কঠোর হওয়ার নির্দেশনা থাকলেও সেনা সদস্যরা ছিল সচেতনতা সৃষ্টি মনোভাবে। তাই তারা বাইরে বের হওয়া কাউকে কোন শাস্তি দিতে দেখা যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ থেকে নারায়ণগঞ্জে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত, দ্রব্যমূলের ন্যায মূল্য নিশ্চিত ও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক করতে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতার জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর থেকেই সেনা সদস্যরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এর ধারবাহিকতায় সেনা সদস্যরা সদর উপজেলা ও শহর, বন্দর, সোনারগাঁও, আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জ উপজেলায় একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও সেনাসদস্যরা অসহায় ও কর্মহীন মানুষদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করতেও দেখা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ বারিক জানান, ‘তারা ধারবাহিক ভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। জেলা প্রশাসন থেকে সর্বক্ষিণক একজন ম্যাজিস্ট্রেট তাদের সঙ্গে আছেন। তবে কাউকে সাজা দেওয়া বা অন্য কোন কিছু করেছেন কিনা সেটা জানা নেই।’
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরা ববি বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত জেলায় অভিযানের রিপোর্টগুলো আসেনি। তাই সেনাবাহিনীর চাষাঢ়ায় অভিযানের সম্পর্কে বলা যাচ্ছে না। রিপোর্ট পেলে জানানো হবে।