নিহত ওই শিশু শিক্ষার্থীদের বয়স পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে। আগুন লেগে যাওয়া ওই শ্রেণিকক্ষটি কাঠ ও খড়ের তৈরি ছিল। গত সাত মাস আগে নাইজারের রাজধানী নিয়ামেইতেও একইরকম একটি ঘটনা ঘটেছিল।
নাইজারের মারাদি শহরের মেয়র চাইবু আববকর জানিয়েছেন, ‘এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগুনে পুড়ে ২৬ শিশু শিক্ষার্থী মারা গেছে এবং আরও ১৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
এএফপি বলছে, বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর একটি নাইজার। অতিদরিদ্র দেশ হওয়ার কারণে সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নেই। ফলে পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটির সরকার কাঠ ও খড় দিয়ে ঘর তৈরি করে আপাতত শ্রেণিকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করছে।
নাইজারজুড়ে এমন শ্রেণিকক্ষের সংখ্যা হাজার হাজার। এমনকি শ্রেণিকক্ষের অভাবে দেশটির বহু শিক্ষার্থী খোলা আকাশের নিচে মাটিতে বসে ক্লাস করে থাকে।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, নাইজারজুড়ে কাঠ ও খড়ের তৈরি এমন শ্রেণিকক্ষে আগুন লাগার ঘটনা খুবই সাধারণ। তবে সেসব আগুনে হতাহতের সংখ্যা খুবই বিরল।
এদিকে শ্রেণিকক্ষে আগুন লেগে বিপুল সংখ্যক শিশু শিক্ষার্থীর হতাহতের কারণে দেশটির মারাদি অঞ্চলে তিনদিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে এই শোক পালন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে নাইজারের নিয়ামেই জেলায় ক্লাস চলাকালে একটি শ্রেণিকক্ষে আগুন লেগে ২০ শিশু শিক্ষার্থী নিহত হয়েছিল।